টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) জুয়েনা আজিজের সঙ্গে ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ শীর্ষক সংসদীয় ফোরামের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠকে তিনি এ দাবি জানান। 

বৈঠকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন, তামাকপণ্যের উপর কর বৃদ্ধি ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে হাবিবে মিল্লাত বলেন, তামাক পরোক্ষভাবে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি করে। পাশাপাশি অসংক্রামক রোগের একটা বড় অংশের কারণ হচ্ছে  তামাক। যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতির উপর চাপ তৈরি করছে। সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্যের সম্পর্ক রয়েছে। এটা নেশাজাত দ্রব্য গ্রহণকেও পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করে। তাই সচেতনতা বৃদ্ধি ও বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করাই সঠিক সমাধান।

জুয়েনা আজিজ বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ক্ষতিকর প্রভাবের ব্যাপারে সবাইকে অবগত করতে হবে। এক্ষেত্রে আইন সংশোধন সম্ভব হলে, তা করতে হবে। সংসদ সদস্যরা যদি এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাহলে ইতিবাচক ফল আসবে। এসময় তিনি তামাকজাত পণ্যে যুক্তিযুক্ত কর বৃদ্ধির ব্যাপারে নিজের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানান।

অন্যান্যরা বলেন, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। তামাক চাষিদের বিকল্প কর্মসংস্থান করতে হবে। তামাক শিল্পের সঙ্গে যারা যুক্ত আছে, তাদের জন্যেও বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। পরোক্ষ ধূমপান বন্ধ করতে হবে, বিশেষ করে হোটেলগুলোতে বা বিভিন্ন জায়গায় যে স্মোকিং জোন আছে সে জায়গাগুলো বন্ধ করতে হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব (এসডিজি) মো. মনিরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. নিজাম উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

এমএইচএন/ওএফ