জাপানের হিমাওয়ারি ৯ নামক কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত মেঘের শীর্ষের তাপমাত্রার ছবি। মোস্তফা কামাল পলাশের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া।

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। 

আজ (মঙ্গলবার) রাত ৮টার পর সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয় বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।  
এই নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ঘূর্ণিঝড় মোখা।  

মোখার গতিপথ সম্পর্কে এখনই সুনির্দিষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি।  

দুপুরের দিকে ভারতের আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) একটি বুলেটিনে  বলা হয়, ১০ মে নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ধারাবাহিকভাবে গতিপথ বদলও হতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়ের। তবে ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। 

১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলের ওপর দিয়ে অতিক্রম করার সময় এই দুই জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলো ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  

এসআর/এনএফ