বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের সময় ওয়াশিংটনে বিরোধী দলের বিক্ষোভের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মন্ত্রী নিজেও কোনো বিক্ষোভকারীকে খুঁজেও পাননি, বরং সেটাকে ফেসবুকের কারসাজি বলে মন্তব্য করেছেন।

বুধবার (১০ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওয়াশিংটনে বিরোধী দলের বিক্ষোভের বিষয়টি নাকচ করেন মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন ওয়াশিংটনে পৌঁছাই সেখানে কোনো বিক্ষোভকারী খুঁজে পাইনি। এমনকি লন্ডনে থাকা অবস্থায় কোনো বিক্ষোভকারীকে দেখতে পাইনি। এগুলো ফেসবুকেই দেখি। ঘরে বসে বানায়। যার কোনো সত্যতা নেই।

কেন সরকারের ওপর বিরোধী দল অসন্তুষ্ট, তা জানার জন্য মন্ত্রী নিজেই বিক্ষোভকারীকে হোটেল থেকে বের হয়ে খুঁজেছেন বলে জানান। মোমেন বলেন, আমি হোটেল থেকে বের হয়ে বহু খুঁজেছি, কোনো একটা লোককে পাই কি না। কোনো একজন বিরোধী দলের লোক পেলে তাকে জিজ্ঞেস করব, আপনারা এত অসন্তুষ্ট কেন? অথচ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আওয়ামী লীগের লোকজন লাইন ধরে ছিল।

সরকারপ্রধানের তিন দেশ সফরের পর নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন এমন বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে এক ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তাহলে সরকার কী বিদেশিদের সঙ্গে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাল কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হলো গণতন্ত্র ও মানবাধিকারে সূতিকাগার। আওয়ামী লীগ সবসময় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমি প্রায়ই বলি, সরকার এবং নির্বাচন কমিশন চাইলেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকারি এবং প্রত্যেকটি বিরোধী দলকে অঙ্গীকারবদ্ধ ও অংশগ্রহণমূলক মনোভাব প্রকাশ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে ভোটার যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দিতে পারে। আমাদের এখানে ন্যূনতম অংশগ্রহণমূলক ৭২ শতাংশ ভোট পড়ে। ইউরোপে হয় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। আর আমেরিকায় কাদাচিৎ ২৮ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে।

সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সফরে সরকারের পক্ষ থেকে সেই দেশগুলোর প্রতিনিধিদের দেওয়া বার্তা প্রসঙ্গে মোমেন জানান, আমরা সবাইকে বলেছি, আপনাদের যদি কারো ওপর বিশেষ দাবিদাওয়া বা বিশেষ নজর থাকে তাহলে বক্তব্যটা জানাবেন। এছাড়া যত কথাই বলি কোনো লাভ নেই। আমাদের অন্যদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং অন্যরা আমাদের থেকে শিখতে পারে।

তিনি বলেন, কিছু দুষ্টু লোক আছে আমাদের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এক কোটি ভুয়া ভোট করে, আজিজ মার্কা ইলেকশন কমিশন করে। হ্যাঁ, না ভোট করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল।

সুষ্ঠু নির্বাচন করার প্রচেষ্টা সবসময় আওয়ামী লীগের আছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এনআই/জেডএস