বাংলাদেশের কোনো সামরিক উচ্চাভিলাষ কিংবা আঞ্চলিক পরাশক্তি হতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

ঢাকায় ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে শুক্রবার রাজধানীর এক‌টি হো‌টে‌লে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানে অস্থিতিশীলতা এবং মধ্যপ্রাচ্য ও সুদানে সংঘাতের মধ্যে এই শতাব্দী আগের তুলনায় কম সংঘাতময় শতাব্দী। তার মানে হচ্ছে, সবকিছু এখনো হাতছাড়া হয়ে যায়নি। তারপরও আমাদের কোনো উচ্চ সামরিক বা এ ধরনের কোনো সামরিক উচ্চাভিলাষ নেই, কিংবা আঞ্চলিক পরাশক্তি হওয়ার।

শাহরিয়ার আলম বলেন, সামরিক উচ্চাভিলাষের বাইরে গিয়ে মানুষের অগ্রগতির দিকে নিচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর দর্শন হলো, তার দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। আমাদের দেশে যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো অনেকটা মৌলিক। এখানে এখনো ১৮ শতাংশের মতো দারিদ্র্য মানুষ আছে।

তি‌নি বলেন, এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতিরা যখন বৈঠকে বসেন, তখনো তারা এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন যে, কীভাবে মানুষকে আরও ভালোভাবে রাখতে পারি। এটিই আঞ্চলিক উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য অর্জনের জন্যই আমাদের আয়োজন।

ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বর্ধিষ্ণু অর্থনৈতিক অঞ্চল হলো ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো বা আরেকটু বড় করে বললে এশিয়া। এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, যোগাযোগ, মহামারি, অপ্রত্যাশিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে একজন আরেকজনকে আমরা কীভাবে সহযোগিতা করতে পারি; এই সার্বিক বিষয়গুলো আলোচনা হচ্ছে, হবে।

সম্মেলনের মাধ্যমে চীন বিরোধী অবস্থানের সঙ্গে বাংলাদেশ মিলে গেল কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, মোটেই না।

তি‌নি বলেন, এ সম্মেলনে থেকে কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে সরকার বাদ দেওয়া হয়‌নি। সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, পরিষ্কার উত্তরটি হলো, সেই দেশের সরকারকে পৃথিবী এখনো স্বীকার করে না। এ কারণে আমরা সরকারের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ করিনি। কিন্তু অন্যান্য সব প্রধান দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বাদ দেওয়া হয়নি। চীনকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমার ধারণা, তাদের প্রতিনিধিরাও এসেছেন বা আসার কথা।

এনআই/ওএফ