উত্তাল হয়ে উঠছে সমুদ্র/ ছবি- ঢাকা পোস্ট

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ রোববার (১৪ মে) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার আগে যেকোনো সময় উপকূলে আঘাত হানবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার (১৩ মে) বিকেলে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

ঘূর্ণিঝড়টির কারণে আর কোনো সিগন্যাল বাড়ানো হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উপকূলে আঘাত হানার আগে আর কোনো সিগন্যাল দেওয়া হবে না। বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা এসব জেলায় এর প্রভাব পড়বে। এসময় ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

আরও পড়ুন >> পানির নিচে চলে যাবে সেন্টমার্টিন

তিনি বলেন, ‘যেহেতু বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৭০ থেকে বেড়ে ১৯০ কিলোমিটার হয়েছে, সেহেতু এটি রোববারের আগে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই। এই মুহূর্তে এটির শক্তি বাড়ারও শঙ্কা দেখছি না। অতিপ্রবল অবস্থায় এটা উপকূল অতিক্রম করবে। রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ যেকোনো সময় এটা উপকূল অতিক্রম করবে। কক্সবাজার, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হবে।’

হঠাৎ করে সিগন্যাল বাড়ানোর কারণ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ‘৮, ৯ ও ১০ তিনটাই মহাবিপদ সংকেতের আওতায়। কোন অঞ্চল দিয়ে এটা অতিক্রম করবে তার ওপর নির্ভর করে ৮, ৯ ও ১০ নির্ধারণ করা হয়। যেহেতু কক্সবাজারের সন্নিকট টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দিয়ে ঝড়টি অতিক্রম করার আশঙ্কা আছে, সে কারণে কক্সবাজারকে মহাবিপদ দেখিয়েছি।’

এ আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি কেন্দ্রের পরিধি ৭৪ কিলোমিটার। এটি যদি সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ দিক দিয়েও প্রবাহিত হয়, তাহলে কেন্দ্রের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে পড়বে। উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের বড় অংশ রোববার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার আগে আঘাত হানার আশঙ্কা প্রায় ৯০ শতাংশ। আঘাত হানার পর মোখার ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা প্রভাব থাকবে। তারপর এটি দুর্বল হয়ে পড়বে।

এসআর/জেডএস