ঢাকায় ৬ষ্ঠ ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের আয়োজন করায় ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

শনিবার (১৩ মে) দুই দিনব্যাপী আইওসি সম্মেলনের সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সম্মেলনে ১৭টি দেশের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী যোগ দিয়েছেন। এতে ৪০ দেশের প্রতিনিধি ১৫৫ জন অতিথি অংশ নেন। সম্মেলন ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে হলেও সামগ্রিকভাবে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সম্মেলনে সমুদ্র নিরাপত্তা, বাণিজ্য, সামুদ্রিক সম্পদে জোর দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি ভারত মহাসাগরের কল্পনা করে, যা মুক্ত, উদার, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সবার জন্য অভিন্ন সমৃদ্ধি বিকশিত করে। আমরা এ লক্ষ্যে আমাদের সব আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে, ভারত মহাসাগর বৈশ্বিক জিডিপি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, জলবায়ু কর্মকাণ্ডে এবং বৈশ্বিক শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখতে পারে।

বিশ্বের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্র পূর্ব দিকে এশিয়া ও আফ্রিকার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সামুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ভারত মহাসাগর অঞ্চলের গুরুত্বের কোনো পুনরাবৃত্তির প্রয়োজন নেই, বিশেষ করে এমন অনেক দেশের জন্য যাদের অস্তিত্ব, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা ছিল এবং সবসময়ই এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত থাকবে।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমরা এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোর খাদ্য নিরাপত্তা, পানির মৈত্রী এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের প্রচারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা চাই। জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি, সামুদ্রিক দূষণ এবং পরিবেশের ওপর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ও ক্ষতিকর প্রভাবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস উপস্থিত ছিলেন।

এনআই/এসএসএইচ/