বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, ২০১৯ সাল থেকে হজের টিকিট বিক্রিতে নতুন নিয়ম চালু এবং মনিটরিং বৃদ্ধির কারণে কোনো হজযাত্রীকে ২০১৯ ও ২২ সালে বিমানের টিকিট নিয়ে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার হতে হয়নি। এবারও তারা টিকিট নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়বেন না। হজের সবকিছু আমরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছি। ২০১৯ ও ২২ সালের মতো এবারও সুষ্ঠু ও সর্বাঙ্গী হজ পরিবহন কার্যক্রম উপহার দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।

শনিবার (২০ মে) রাতে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কনকোর্সে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ‘হজ ফ্লাইট-২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

মাহবুব আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটি চালু হয়। এর আওতায় বাংলাদেশের সব হজযাত্রী সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন কাজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্পন্ন হয়ে থাকে এবং সৌদি আরব অংশে বিমান থেকে নামার পর তাদের লাগেজ নির্ধারিত আবাসনে পৌঁছে দেওয়া হয়। এতে হজযাত্রীদের সময় এবং কষ্ট দূর হয়েছে। হজযাত্রা হয়েছে আরামদায়ক এবং মসৃণ।

অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, যাদের বয়স ৬৫ বছরের উপরে ছিল, তারা গত বছর যেতে পারেননি। কিন্তু এবার সৌদি সরকারের আন্তরিকতার সঙ্গে ৬৫ বছরের উপরে বয়সীদের যাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। এজন্য সৌদি সরকারকে আমি অভিনন্দন জানাই। যারা এবার হজ করতে যাচ্ছেন, তারা ঢাকা থেকেই প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন নিয়ে সৌদি যাচ্ছেন। হজযাত্রীদের যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, এজন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় ও বিমান বাংলাদেশ সৌদি অংশে সজাগ রয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিগত বছরগুলোর মতো এবারও হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। বাংলাদেশ থেকে ২০২৩ সালের প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি ৩০০১, ২১ মে ভোর ৩টা ২০ মিনিটে ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। ফ্লাইটি জেদ্দায় পৌঁছাবে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে।

২১ মে বিমানের পাঁচটি ডেডিকেটেড হজফ্লাইটের মাধ্যমে ২ হাজার ৯৫ জন হজযাত্রী ঢাকা থেকে জেদ্দার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। বাকি ফ্লাইটগুলো সকাল ৭টা ৫ মিনিট; সাড়ে ১০টা; দুপুর আড়াইটা এবং রাত ১০টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে জেদ্দার উদ্দেশে উড্ডয়ন করবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হজযাত্রীদের সুবিধার্থে ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

এ বছর মোট হজযাত্রী হবে ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জন। এরমধ্যে বিমান পরিবহন করবে ৬১ হাজার ১১১ জন। প্রি-হজে বিমানের মোট ফ্লাইট হবে ১৬২টি। প্রি-হজ ফ্লাইটগুলোর মধ্যে ঢাকা-জেদ্দা ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৯৩টি (২৫টি সরকারি ব্যালট ফ্লাইট) ঢাকা-মদিনা ডেকেটেড ফ্লাইট ৩৩টি; চট্টগ্রাম-জেদ্দা ডেডিকেটেড ফ্লাইট ১৩টি; চট্টগ্রাম-মদিনা ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৭টি; সিলেট-জেদ্দা ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৫টি এবং সিলেট-মদিনা ডেডিকেটেড ফ্লাইট একটি।

মোট ডেডিকেটেড ফ্লাইট ১৫২টি এবং নিয়মিত ফ্লাইট (সিডিউল ফ্লাইট) ১০টি। এবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর এবং বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার ব্যবহার করে ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করা হবে।

এর আগে ২০২২ সালে মোট হজযাত্রী ছিল ৬০ হাজার। এরমধ্যে বিমান পরিবহন করছে ৩০ হাজার ৩৬১ জন। প্রি-হজে বিমানের ফ্লাইট ছিল ৮৭টি এবং পোস্ট হজে বিমানের ফ্লাইট ছিল ৮৫টি।

এমএইচএন/এফকে