দুর্নীতি করলে কোনো পুলিশ সদস্যকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

মঙ্গলবার সকালে নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে নৌ-পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। 

আইজিপি বলেন, কোন পুলিশ সদস্য মাদক ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে তাকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। কোনো পুলিশ সদস্যের অপরাধের দায়ভার বাংলাদেশ পুলিশ বহন করবে না।

নৌ-পুলিশ অল্প সময়ের মধ্যে নৌ-পথে যাত্রী, নৌ-যান মালিক এবং সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি দেশের নৌপথের নিরাপত্তা এবং মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে নৌ পুলিশকে আরও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে প্রত্যাশা নিয়ে নৌ-পুলিশ গঠন করেছেন সে প্রত্যাশা পূরণে আরও ভালোভাবে কাজ করতে হবে। ভালো কাজের মধ্য দিয়ে নিজেদের ভালো কাজের রেকর্ড ভাঙতে হবে।

নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় নৌ-পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নৌ-পুলিশের ১৪১টি থানা/ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জরা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।

আইজিপি বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর 'জিরো টলারেন্স' নীতিতে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালনের ফলে জঙ্গি দমনে আমরা সফল হয়েছি। পুলিশের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা প্রদান করে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। পুলিশি সেবা পেতে মানুষ যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

পুলিশ প্রধান বলেন, সামগ্রিকভাবে পুলিশ ভালো কাজ করছে। অতীতে যেখানে প্রায় ৯০ ভাগ ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটিত হত না সেখানে বর্তমানে প্রায় ৯৫ ভাগ ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে। পুলিশ সদস্যদের আন্তরিকতা, নিষ্ঠা এবং মামলা তদন্তে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ায় এটা সম্ভব হয়েছে। 

নৌ-পুলিশ প্রধান তার স্বাগত বক্তব্যে নৌ-পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম সভায় উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, নৌ-পুলিশ নৌপথের নিরাপত্তা এবং মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। তিনি বিশেষায়িত এ ইউনিটের কার্যক্রম আরও অনন্য মাত্রায় উন্নীত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
 
এআর/এসকেডি