আন্দোলন দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন ঘিরে যে আন্দোলন হচ্ছে এতে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) গুলশান-২ এর বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ গণতান্ত্রিক দেশ। সকল মতের মানুষের বক্তব্য প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। কেউ কেউ হয়ত মোদির সফরের বিরোধিতা করছেন। তবে দুই দেশের বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ তার আগমন উপলক্ষে খুব খুশি। প্রেসক্লাবের সামনে দুই-চার জন এনে বিক্ষোভ করালে কি হবে? দুই দেশের সম্পর্কে সেটি কোনো প্রভাব ফেলবে না। আর রাষ্ট্রীয় অতিথি যারা ঢাকা সফর করছেন বা করবেন, বাংলাদেশ সরকার তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে বেশ কয়টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এক দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি যখন আরেক দেশে সফরে যান তখন এমন চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয় থাকে। এবারও থাকবে। তবে এবার মোদির সফর মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী নিয়ে। তবুও আমাদের পক্ষ থেকে কিছু বিষয় থাকবে। ইতোমধ্যে কিছু বিষয়ে উভয়পক্ষ সমঝোতায় এসেছে। পাঁচটির বেশি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
করোনা পরিস্থিতি আবারও খারাপের দিকে যাওয়ায় সামাজিক দূরত্ব এবং অন্যান্য সতর্কতা মেনে এসব অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ডিএনসিসির উদ্যোগে গুলশান-২ এর বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে ‘ফ্রেন্ডশিপ টু অল, মেলাইস টুয়ার্ডস নন’ শিরোনামে এক চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন তিনি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, নাহিদ ইজাহার খান। এছাড়া গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, কসভো ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত।
এএসএস/এসএসএইচ