কমান্ডার খন্দকার আল মঈন

পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। বিদায়ী মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরমধ্য দিয়ে লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তা কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। আশিক বিল্লাহ তার নিজ কর্মস্থল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ফিরে যাচ্ছেন। আজই র‌্যাবে তার শেষ কার্যদিবস।

র‌্যাবের বিদায়ী মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, কমান্ডার আল মঈন আজই নতুন এ দায়িত্ব বুঝে নেবেন।

গত ৮ জুলাই র‌্যাবের মুখপাত্রের দায়িত্ব পান লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ। এর আগে তিনি র‌্যাব-২ এর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।

র‌্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মূলত আমি একজন কমিউনিকেশন স্পেশালিষ্ট। আমি এর আগে ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত গোয়েন্দা শাখায় দায়িত্ব পালন করেছি। এক বছর ২ মাস ধরে আমি র‌্যাবের কমিউনিকেশন শাখার পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছি।

দায়িত্ব পালনের সময় আমি পূর্বেও গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছি। আশিক স্যারকে গণমাধ্যম যেভাবে সহযোগিতা করেছে, আশা করব তেমনিভাবে আমার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ২০০৭ হতে ২০১০ সাল পর্যন্ত র‍্যাব ফোর্সেস সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। র‍্যাব ফোর্সের গোয়েন্দা শাখায় দায়িত্ব পালনকালে তিনি জঙ্গি, চরমপন্থি এবং সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন অপারেশনে প্রশংসনীয় অবদান রেখেছেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিকে গ্রেনেডসহ গ্রেফতারে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ মেডেলে (বিপিএম) ভূষিত হয়েছেন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) থেকে পিএসসি সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করেছেন।

জেইউ/এমএইচএস