ছবিতে মাঝে অভিযুক্ত রাজন

প্রতারণার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা করেছে পুলিশ। শনিবার (২৭ মে) নাটোরের লালপুর ও রাজশাহীর বাঘা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন– মো. ফজলে রাব্বি (২০), মো. রাজন আলী (২২), রন্জু আহম্মেদ (২২)।

রোববার (২৮ মে) মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসীন ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানান।

সাহায্যের নামে বিপদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেন ‘ইমো রাজন’!

ওসি জানান, তার নাম রাজন। কিন্তু এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত ইমো রাজন নামে। তিনি অভিনব উপায়ে ইমোর মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন। তিনি বিভিন্ন নামে ইমোতে অনেকগুলো গ্রুপ খুলেন। ইমো সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্যই এসব গ্রুপ খুলেন তিনি। এ গ্রুপে যুক্ত হওয়ার পর টার্গেট করা হয়।

এরপর বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন নম্বর থেকে টার্গেট করা ব্যক্তির ইমোতে বিপুল পরিমাণ স্টিকার ম্যাসেজ পাঠানো। এত বিপুল পরিমাণ ম্যাসেজ আসার একপর্যায়ে ওই নম্বর হ্যাং হয়ে যায়। তখন ওই ব্যক্তি গ্রুপে সহযোগিতা চান। তখন রাজন ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এ ‘সমস্যা’ সমাধানের জন্য তার আইডিতে ঢুকার অ্যাকসেস চান। এক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছে একটি ওটিপি যায়, ওই ওটিপির মাধ্যমে অন্যরাও অ্যাকসেস পায়।

ইমোতে ঢুকে রাজন সেই ইমোর সব ম্যাসেজ পড়ে নেন এবং তার আত্মীয় স্বজন সম্পর্কে তথ্য নেন। এরপর তার আত্মীয়ের কাছে ‘আমি বিপদে পরেছি, টাকা পাঠান’, ‘মা অসুস্থ, টাকা পাঠান’ জাতীয় ম্যাসেজ পাঠিয়ে ৫ হাজার, ১০ হাজার, ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। রাজনের এমন বিভিন্ন গ্রুপ আছে। তার মধ্যে রাজন স্টোরি, রাজন সলিউশন উল্লেখযোগ্য।

মুদির দোকানে বসে কর্মকর্তা সেজে রন্জুর প্রতারণা

ওসি মোহাম্মদ মোহসীন বলেন, রন্জু আহম্মেদ পেশায় মুদি দোকানি। কিন্তু তিনি করেন বিকাশ প্রতারণা। দোকানে বসেই বিকাশ কর্মকর্তা সেজে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন।

একজনের সিম অন্যের কাছে বিক্রি

তিনি জানান, সড়কের পাশে যারা সিম বিক্রি করেন তাদের কেউ কেউ বিভিন্ন অসদুপায় অবলম্বন করে মানুষের কাছ থেকে একাধিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণ করেন। পরে সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে আরও সিম ইস্যু করেন। সেসব সিম উচ্চমূল্যে বিভিন্ন প্রতারক চক্রের কাছে বিক্রি করেন রাব্বি।

সাধারণত সিমের দামের তুলনায় এগুলোর মূল্য ৪/৫ গুণ বেশি। এসব সিম দিয়েই প্রতারকরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ওসি।

জেইউ/এসএসএইচ/