ভিসার সঙ্গে সৌদির বাড়ির ঠিকানা মিল না থাকায় বাংলাদেশ এয়ার ট্রাভেলস নামে এক এজেন্সিকে শোকজ করা হয়েছে। এই এজেন্সির বিরুদ্ধে সৌদি আরবে যাওয়ার পর ৩৪ হজযাত্রীকে হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে। 

এর আগেও ২৩ মে একই অভিযোগে ৮টি এজেন্সিকে শোকজ করা হয়। আগামী তিন দিনের মধ্যে এজেন্সিগুলোকে তাদের বক্তব্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। 

গতকাল শনিবার (২৭ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এয়ার ট্রাভেলসকে শোকজ করা হয়। 

শোকজে বলা হয়,  হজযাত্রীদের সেখানকার বাড়ি ভিসার সঙ্গে মিল না থাকায় লাগেজ নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে সৌদির ট্রাক চালককে। এক পর্যায়ে যাত্রীদের লাগেজ সৌদির হজ মিশনে রাখা হয়। পরে এজেন্সির পক্ষ থেকে নেওয়ার ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই ৩৪ জন হজযাত্রীর বাড়ি ভিসার সঙ্গে মিল না থাকায় তাদের লাগেজ ট্রাক ড্রাইভার বাড়িতে নামাতে না পেরে রাত ২টায় হজ মিশনে রেখে যায়। মালামাল নেওয়ার জন্য এই এজেন্সিকে জানানো হলেও বিকেল পর্যন্ত মালামাল নেওয়ার ব্যবস্থা করেনি। এতে হজযাত্রীদের কষ্ট হচ্ছে।

হজযাত্রীদের ভাড়া করা বাড়ির ঠিকানা ভিসার সঙ্গে মিল নেই। এ কারণে হজযাত্রীদের লাগেজ নির্দিষ্ট বাড়ি/হোটেলে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এতে হজযাত্রীরা কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছেন। সেক্ষেত্রে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে এবং সরকারের হজ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা উপেক্ষিত হয়েছে ও মক্কা রোড সার্ভিস কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।

এর আগে ২৩ মে আল কাশেম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, ইউরো বেঙ্গল ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিজম, ইউরোপা ট্রাভেলস, কে আই ট্রাভেলস, এল আর ট্রাভেলস, এন জেড ফাউন্ডেশন অ্যান্ড হজ মিশন, সাকের ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস ও সঞ্জরি ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস এজেন্সিকে শোকজ দেওয়া হয়।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এসব এজেন্সি হজযাত্রীদের ভিসা যে হোটেলের ঠিকানায় করা হয়েছে সে হোটেলে না উঠিয়ে মক্কার বিভিন্ন ফিতরা করা হোটেলে তোলেন। মক্কার এসব হোটেলে হজযাত্রীদের রিসিভ করার জন্য এজেন্সির কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। ফলে হজযাত্রীরা তাদের জন্য নির্ধারিত হোটেল খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়েন। ভিসা অনুসারে হোটেল না হওয়ায় তাদের লাগেজ হোটেলে পৌঁছাতে সমস্যা হয়। পরে হজ মিশনের চেষ্টায় বিষয়টির সমাধান হলেও একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দায়ীদের আগামী তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।

এনএম/এসকেডি