ফাইল ছবি

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর তাদের কবর বা সমাধি একই ডিজাইনে নির্মাণ হবে। বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেট পেশ করেন। বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ও মুক্তিযুদ্ধেও স্মৃতি সংরক্ষণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ নিশ্চিত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্মৃতি ও স্মারক সংরক্ষণ আমাদের সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে আমরা যেসব ভাতা দিয়ে আসছি তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। 

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জীবিত মুক্তিযোদ্ধা এবং মৃতদের ক্ষেত্রে পরবর্তী সুবিধাভোগীদের নাম-পরিচিতি নিশ্চিত করে তাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংবলিত ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) প্রস্তুত করা হয়েছে। জিটুজি পদ্ধতিতে সরাসরি ভাতাভোগীদের ভাতা প্রদান প্রক্রিয়ায় এ ডাটাবেজ ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচিতি নিশ্চিতকল্পে তাদের অনুকূলে স্মার্টকার্ড ও ডিজিটাল সনদ প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ৩০ হাজার ‘বীর নিবাস’ নির্মাণের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৫ হাজার নিবাস হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর কবর বা সমাধি একই ডিজাইনে নির্মাণের কাজও চলমান আছে। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানগুলো সংরক্ষণ ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৬৪ জেলার ২৯৩টি উপজেলার ৩৬০টি স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ/জাদুঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২৭১টি ঐতিহাসিক স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ভারতীয় মিত্র বাহিনীর ১ হাজার ৬৬১ জন সদস্যের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে ‘বীরের কণ্ঠে বীর গাঁথা’ প্রকল্পের মাধ্যমে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্য রেকর্ডের জন্য কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

এসআর/কেএ