চাকরি করেন সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে, কিন্তু পরিচয় দেন পুলিশের এএসআই। বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য পুলিশের ক্যাপ, ওয়াকিটকি এমনকি জুতাও কিনেছেন শাকিল। এভাবেই একাধিক শুধু প্রেম নয়, বিয়েও করেছেন পাঁচটি।

পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে শাকিল হোসেন (৩১) নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য দিয়েছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মিরপুর মডেল থানা পুলিশের একটি দল মনিপুর কাঠালতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্রেপ্তার শাকিল সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন। কিন্তু তিনি পুলিশ পরিচয় দেন এবং এই পরিচয়েই তিনি ৫ বিয়ে করেন!  গ্রেপ্তার শাকিল নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার থুপ শহর এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে।

ওসি বলেন, শাকিল একজন প্রতারক। তার নাম শাকিল হলেও তিনি সবাইকে পরিচয় দেন রানা নামে। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করলেও তিনি নিজেকে পরিচয় দেন পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক বা এএসআই হিসেবে। 

মানুষ যাতে বিশ্বাস করে তাই এই নামে তিনি আইডি কার্ড বানিয়েছেন, পুলিশের ক্যাপ বানিয়েছেন, পুলিশের জুতা এবং ওয়াকিটকিও কিনেছেন। 

এই ভুয়া পরিচয়েই তিনি বিভিন্ন মেয়ের সাথে সম্পর্ক গড়েন, এরপর বিয়ের নামে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকেন। এরপর কিছুদিন থাকার পর পালিয়ে যান। এভাবে তিনি ৫টি বিয়ে করেন। 

একইভাবে তিনি ঢাকার বাড্ডা এলাকার এক মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিয়ে যান মিরপুর। বিয়ে করবেন বলে ৫০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। এরপর নিজে নিজেই বিয়ে পড়েন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরই তার গতিবিধি সন্দেহজনক ঠেকে মেয়ের কাছে। তাই তিনি ফোন করেন পুলিশের কাছে।

পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে প্রতারণার কথা স্বীকার করেন শাকিল। তার বাসা থেকে ১টি পুলিশ আইডি কার্ড, ১টি ওয়ারলেস সেট, ১টি পুলিশ ক্যাপ, ১ জোড়া পুলিশের জুতা, ১টি ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা সমমূল্যের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে। 

তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

জেইউ/এমএ