রুমালে মুখ ঢেকে ও মাথায় ক্যাপ পড়ে বাসায় ঢুকে ব্যবসায়ীর পরিবারকে জিম্মি করে ১০ লাখ টাকা, স্বর্ণ ও মোবাইল লুটের ঘটনা ঘটেছে।

গত ২৯ মে রাজধানীর পুরান ঢাকার কোতোয়ালি থানাধীন একটি বাসায় সংঘটিত ওই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন ওমর ফারুক ও শরিফ মাহমুদ।

গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা, এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল ও স্বর্ণের চেইন উদ্ধার করা হয়।

এদের মধ্যে ওমর ফারুক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর ফলের আড়তের সাবেক কর্মী। মূলত তারই পরিকল্পনায় এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি পুলিশের।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ২৯ মে বাবুবাজারের হায়বৎ নগর লেনের একটি বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেন, ভুক্তভোগীর বাসায় দুজন ব্যক্তি মুখে কাপড়ের রুমাল বেঁধে, মাথায় ক্যাপ পরিহিত অবস্থায় প্রবেশ করেন। বাসায় সেসময় উপস্থিত ছিলেন বাদীর মা ও স্ত্রী। বাদীর মা অসুস্থ। বাদীর স্ত্রীকে জখম করে বাসায় রাখা ১০ লাখ ৫ হাজার টাকা, স্বর্ণের গহনা এবং একটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়।

ওসি বলেন, মামলার পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। মামলা তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশপাশের ৫০ থেকে ৬০টি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদের চিহ্নিত করা হয়। পরে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করে কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার হরিপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ওমর ফারুক জানতেন প্রতি দিনের লেনদেনের ক্যাশ টাকা বাসায় নেওয়া হতো। ওমর ফারুকসহ দুজন ডাকাতিতে অংশ নেন।

গ্রেপ্তারদের শনিবার (৩ মে) দুপুরে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জেইউ/এমএ