ফাইল ছবি

বেসরকারি দুগ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো নিম্নমানের দুধ বিক্রি করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।

রোববার (৪ জুন) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, মো. শাহে আলম ও আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
 
প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বৈঠকে বলেন, মিল্কভিটার পণ্য শতভাগ বিশুদ্ধ ও খাঁটি। এখানে ভেজালের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু বেসরকারি দুগ্ধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দেশি-বিদেশি নিম্নমানের দুধ কম দামে কিনে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি করছে। তাদের পণ্যের সুষ্ঠু মান নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আমদানি করা দুধের ওপর ১০-১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি দুগ্ধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিম্নমানের দুধ কিনে কন্ট্রামিনেশন (ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে) করে বাজারে বিক্রি করছে। যা জনসাধারণের জানা দরকার।

রোববারের বৈঠকে মিল্কভিটা নিয়েও আলোচনা হয়। খামারিদের কাছ থেকে দুধ কেনার মূল্য বাড়ানোর জন্য ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার দাবি করেন মিল্কভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু। তবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দেন।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, সরকার এখন সব খাত থেকে ভর্তুকি কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এই সময়ে নতুন করে ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয়।

পরে মিল্কভিটাকে জনপ্রিয় করার অনুশাসন দেওয়া হয়।

জানা গেছে, আগের বৈঠকে কমিটির সদস্য সরকারি দলের এমপি শাহে আলম বলেন, বেসরকারি দুগ্ধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাজার থেকে কমমূল্যে নিম্নমানের দুধ ক্রয় করে। নিম্নমানের গুঁড়া দুধ ৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে বিদেশ থেকে আমদানি করে তা মিশিয়ে বাজারে তুলনামূলক কমমূল্যে বিক্রি করে।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব বলেন, মিল্কভিটার বর্তমানে ৪ লাখ লিটার দুধ প্রসেস করার ক্যাপাসিটি রয়েছে। মিল্ক ভিটা গড়ে ৫০ টাকা কেজি দরে দুধ সংগ্রহ করে। কিন্তু খামারিরা খোলা বাজারে দুধ বিক্রি করে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৭০ থেকে ৯০ টাকা (লিটার প্রতি) পায়। এ কারণে মিল্কভিটার দুধ পেতে সমস্যা হচ্ছে। আবার ৫০ টাকার বেশি মূল্যে দুধ কেনা হলে ভোক্তা পর্যায়ে ১০০ টাকা লিটার মূল্যেও পৌঁছানো সম্ভব হবে না।

এসআর/জেডএস