চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানা এলাকায় আজাদুর রহমান (৩৫) হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আবুল হাসনাত রাজু (৩৪) ও ওসমান (৩৫) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রোববার (৪ জুন) বিকেলে খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার শোলাদানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

ডিবি জানিয়েছে, গ্রেপ্তার দুজন আজাদ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা। মৃত্যুর সময় আজাদ তাদের নাম বলে গেছেন। হত্যাকাণ্ডের পর তারা চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে যান। একপর্যায়ে তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। রোববার এক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তাদেরকে আজাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে পুলিশ জানায়, গত ২৭ মে রাতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নগরের নয়াবাজার এলাকায় একটি কারখানার গেটের সামনে প্রশ্রাব করছিল। কারখানার নৈশপ্রহরী মফিজ তাকে বাধা দেন। এতে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কিছুক্ষণ পর অজ্ঞাত ব্যক্তির পক্ষে আরও কয়েকজন কথা-কাটাকাটি করে। একপর্যায়ে কেয়ারটেকার মফিজের ভাই আজাদুর রহমানও ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে মফিজ ও আজাদকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

পরদিন ভোরে নাস্তা আনার জন্য বের হন আজাদ। নয়াবাজার এলাকায় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা অভিযুক্তরা আজাদকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় আজাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। ওই সময় তিনি খুনিদের নাম বলেন। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

চট্টগ্রাম মহানগর ডিবি বন্দর ও পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার আলী হোসেন বলেন, আজাদ হত্যা মামলাটি ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে। এই মামলার প্রধান দুই আসামি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এমআর/এমএ