ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের ‘ট্রাভেল পাস’ বা ভ্রমণ অনুমোদনের বিষয়টি গৌহাটির বাংলাদেশ মিশনকে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

সালাহউদ্দিন আহমদের ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হবে কি না জানতে চাওয়া হলে মুখপাত্র বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতিতে ইতোমধ্যে গৌহাটিতে আমাদের মিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। বাকিটা নরমাল প্রসেসিং (প্রক্রিয়া)।

সালাহউদ্দিন আহমদ দেশে ফিরতে পারবেন কি না জানতে চাইলে রফিকুল আলম বলেন, এটা তার ওপর নির্ভর করবে। সম্মতি যেহেতু জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাকিটা প্রসেসের (প্রক্রিয়া) বিষয়।

অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক হওয়া বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের দেশে ফিরতে বাধা নেই বলে চলতি বছরের মার্চের শুরুতে রায় দেয় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জজ আদালতের আপিল বিভাগ।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন। ওই বছরের ১১ মে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করে শিলংয়ের পুলিশ। ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থেকে সালাহউদ্দিনকে খালাস দেন ভারতের একটি আদালত। তবে আদালতের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে থেমে যায় সালাহউদ্দিনের দেশে ফেরা। প্রায় সাত বছর বিচার চলার পর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

সালাউদ্দিন আহমদ ১৯৯১ সালে বিএনপির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। ২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সালাহউদ্দিন। তাকে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। মেঘালয়ে যখন আটক হন তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতের জেলে থাকাকালে বিএনপি তাকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে।

এনআই/এমজে