ময়নাতদন্ত ছাড়াই বাড়ি গেল হাটহাজারী মাদরাসার ৪ ছাত্রের মরদেহ
অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে পাঠানো হয় নিহতদের মরদেহ/ ছবি: ঢাকা পোস্ট
হাটহাজারী মাদরাসাছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত চার ছাত্রের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিজ নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, শনিবার (২৭ মার্চ) রাত ৯টার দিকে নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত ছাত্র রবিউলের মরদেহ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ, নসরুল্লাহর মরদেহ নওগাঁর বদলগঞ্জ, কাজী সিরাজুল ইসলামের মরদেহ মাদারীপুর ও ওয়াহিদুল ইসলামের মরদেহ চট্টগ্রামে রাউজানে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, হাটহাজারী মাদরাসা থেকে একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আসে। এরপর মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, হাটহাজারী মাদরাসার দক্ষিণে ত্রিবেণী মিষ্টির দোকান এলাকায় চট্টগ্রাম-নাজিরহাট-খাগড়াছড়ি সড়কটিতে ইট দিয়ে ছাত্রদের দেওয়া ব্যারিকেড এখনও রয়েছে। এই কারণে শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুর ২টা থেকে সড়কটিতে এখনও গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ সারাদিন হাটহাজারী সদর বাজারের অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল। থানা ভবনের দক্ষিণে বাস স্ট্যান্ডে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে সেখানে অবস্থান করছে বিপুল সংখ্যক র্যাব ও পুলিশ। থানা এবং আশপাশে ছিল বিজিবির সদস্যরা।
শুক্রবার হেফাজত সমর্থক মাদরাসাছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে চার জন নিহত হয়। এ সময় ছাত্ররা হাটহাজারী থানা ও ভূমি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে আজকে সারা দেশে মিছিল সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। আগামীকাল সারাদেশে সকাল সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
হাটহাজারীতে জেলা পরিষদের ডাক বাংলোতে আগুন
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জেলা পরিষদের ডাক বাংলোতে আগুন দিয়েছেন মাদরাসার ছাত্ররা। শনিবার (২৭ মার্চ) রাত ৮টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা ডাক বাংলোয় আগুন দেয়।
ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। তিনি বলেন, জেলা পরিষদের ডাক বাংলোতে আগুন দিতে দেখা গেছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জানি না।
কেএম/এফআর