চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ও কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোর চক্রের নয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ২০টি মোটরসাইকেল।
 
শনিবার (২৭ মার্চ) কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

গ্রেফতাররা হলেন- চক্রের প্রধান মো. রিয়াজ (৩২), মো. সোহেল (৪৪), মেহেদী হাসান (১৯), আনোয়ারুল ইসলাম (৩৭), রফিকুল ইসলাম রিপন (৩৮), মো. ওবায়দুল কাদের (৪২), মাহমুদুল হাসান (২৪), মো. শাখাওয়াত হোসেন ওরফে রুবেল হোসেন (২৫) ও শাহাদাত হোসেন সাজ্জাদ (২৭)।

ওসি বলেন, টানা ২৪ ঘণ্টার অভিযানে চট্টগ্রাম নগরী, সীতাকুণ্ড, কুমিল্লা ও খাগড়াছড়িতে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা ঢাকা পোস্টকে বলেন, কদমতলী এলাকায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালনের সময় নাম্বার প্লেটবিহীন একটি মোটরসাইকেল দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় গাড়িতে থাকা মিল্টন সরকার ও মেহেদী হাসান মালিকানার বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে মেহেদী হাসান জানায় যে, কাগজপত্রবিহীন আরেকটি মোটরসাইকেল ডবলমুরিং থানাধীন কদমতলী মোড়ের সিয়াম বাইক সার্ভিসের সামনে রাস্তার ওপর আছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই স্থানে তল্লাশি করে আরেকটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, পরে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদে মিল্টন সরকার জানায় যে, কাগজপত্রবিহীন একটি মোটরসাইকেল সীতাকুণ্ডের আনোয়ারের কাছে, ৭টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল বড় দারোগা হাটের ওবায়দুল কাদেরের কাছে, ২টি ডিসকভার মোটরসাইকেল নাঙ্গলকোর্ট এলাকার মাহমুদুল হাসানের কাছে, একটি মোটরসাইকেল রামগড় এলাকার রুবেল হোসেনের কাছে আছে। 

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, মিল্টনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানার চারটি টিম সীতাকুণ্ডের বড় দারেগারহাট, ভুজপুর থানার হেয়াকো বাজার, কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোর্ট থানার শরীফপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িত অন্যদের গ্রেফতার ও মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
    
কেএম/জেডএস