টিভিতে সংবাদের পাশাপাশি নাটক-সিনেমা দেখানোর পরামর্শ
গণমাধ্যমকর্মীদের কলমকে অস্ত্র না বানিয়ে জনকল্যাণে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, মিডিয়া খুবই শক্তিশালী মাধ্যম। তবে তাদেরকে সব বিষয়ই তুলে ধরতে হবে। শুধু সংবাদ আর বিজ্ঞাপন নয়, নাটক-সিনেমাও প্রচার করতে হবে।
বুধবার (২১ জুন) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে টেলিভিশন দর্শক ফোরাম অব বাংলাদেশ আয়োজিত স্টার অ্যাওয়ার্ড-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। কোভিড মহামারি মোকাবিলায় বিশেষ অবদান রাখায় তাদেরকে এই সম্মাননা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মাঝেমধ্যে দেখা যায় টেলিভিশনে শুধু বিজ্ঞাপনই চলতে থাকে। আবার কিছু চ্যানেলে সারাক্ষণ শুধু সংবাদ প্রচার করা হয়। সেগুলোতে বিনোদন, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও তুলে ধরতে হবে। এতে করে মানুষের মন ভালো হবে। মানসিক বিষণ্নতা কমবে।
তিনি বলেন, কলমকে যদি অস্ত্র বানিয়ে ফেলি, সেটা সমস্যা। এটিকে জনকল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। আমরা সবাই জানি তাদের মালিকানা কাদের। সেগুলো কিন্তু প্রধানমন্ত্রীই অনুমোদন দিয়েছেন। সুতরাং এমন কিছু প্রচার হওয়া উচিত নয় যা দেশের ইমোজ নষ্ট করে। আমরা বিভিন্ন দেশে যাই, তারা নিজেদের ইমেজ ধরে রেখেই সংবাদ-অনুষ্ঠান প্রচার করে।
বিজ্ঞাপন
করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে খুব ভালো করেছে। বিশ্বে প্রথম এবং এশিয়ায় প্রথম স্থান হয়েছে। যখন অন্যান্য দেশ কোভিড টিকাই পায়নি, কিন্তু আমরা তখন কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। করোনা চিকিৎসায় রেমডিসিভির খুবই আলোচিত ছিল, রেমডিসিভির বের হওয়ার ১০ দিনেই আমরা নিয়ে এসেছি। প্রতিটি রেমডিসিভির কোর্সের মূল্য ৫০ হাজার টাকা, আমরা প্রতিটি কোর্স বিনামূল্যে দিয়েছি। আমরা একদিনে ১ কোটি ২০ লাখ পর্যন্ত টিকাও দিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, করোনার সময়ে প্রাইভেট হাসপাতালগুলো তালাবদ্ধ করে পালিয়েছিল, আমাদেরকে তাদেরকে আবারও আনতে হয়েছে। কোভিড মোকাবিলা করতে কষ্ট হয়েছে, তবে সমালোচনাও হয়েছে। আমরা নিজেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি। আমাদের চিকিৎসক-নার্স, গণমাধ্যমের ব্যক্তিরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে। সবমিলিয়েই আমরা সফলভাবে কোভিড মোকাবিলা করেছি।
জাহিদ মালেক বলেন, মন্দা এখনও আছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। গ্যাস পেট্রোলে দাম বেড়েছে, এটা শুধু বাংলাদেশই নয়। বিশ্বজুড়েই দাম বেড়েছে। এটা হয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা হাসপাতালগুলোতে ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু করেছি। এরইমধ্যে ২০০টি হাসপাতালে চালু হয়েছে, আগামীতে বাকি সব হাসপাতালগুলোতেও চালু করবো। এতে রোগীরাও খুশি, চিকিৎসকরাও খুশি।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেশেই ভ্যাকসিন তৈরি করব, বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আনতে হবে না। পৃথিবীর ৪/৫টি দেশ টিকা তৈরি করে। আমরা বিদেশেও রপ্তানি করব। এরইমধ্যে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানির পাশে জায়গা দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রায় ৭-৮ একর জমিতে এই প্লান্ট হবে। এখানে যে ভ্যাকসিন উৎপাদন হবে, তা অন্তর্জাতিকমানের হবে। আশা করি আমরা বিদেশে এই ভ্যাকসিন রপ্তানি করতে পারব।
টিআই/জেডএস