আঞ্চলিক পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশব্যাপী সুষম উন্নয়ন নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন পরিকল্পনাবিদরা।

রোববার(২৮ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে পরিকল্পনার গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে নগর পরিকল্পনাবিদরা এ মত দেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রের সর্বত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমান স্তর অর্জনের উদ্দেশ্যে সুষম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও উন্নয়নে আঞ্চলিক বৈষম্য দেখা যায়। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে আঞ্চলিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সারাদেশের সুষম ও ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে স্বাধীনতার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ করতে হবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার অন্যতম ভিত্তি ছিল ছয় দফা আন্দোলন। যার অন্যতম কারণ ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অনুন্নয়ন ও আঞ্চলিক বৈষম্য। সংবিধানের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও উন্নয়ন বৈষম্য কেন বাড়ছে; স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের এর কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। তবে বর্তমান সরকারের ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ বৈষম্য কমানো সম্ভব।

সেমিনারে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আগামী দিনে নগরায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। 'আমার গ্রাম, আমার শহর’ বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ১৫টি পাইলট প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। সরকার বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, বিআইপির সহ-সভাপতি পরিকল্পনাবিদ মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ রাসেল কবির প্রমুখ।

এএসএস/এসকেডি/এসএসএইচ