রাজধানীর শনির আখড়া পশুর হাটে সবার নজর কাড়ছে ‘কালো পাহাড়’। গায়ের রং কালো বলে গরুটির এমন নাম রেখেছেন খামারি। বিক্রেতার দাবি, বিশালাকৃতির এ গরুর ওজন এক হাজার কেজি, তাই দাম হাঁকানো হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। তবে এখন পর্যন্ত ৮ লাখ টাকার বেশি দাম ওঠেনি বলে জানা গেছে।

সোমবার (২৬ জুন) সকালে শনির আখড়া পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটের মাঝখানে বাঁশের সঙ্গে বাঁধা রয়েছে বেশ কয়েকটি দেশি-বিদেশি জাতের গরু। এরমধ্যে ক্রেতা এবং উৎসুক জনতা ভিড় করছে ‘কালো পাহাড়’ - এর সামনে।

এ গরুর বিক্রেতা বিল্লাল মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, গরুটা দেখতে কালো। সেজন্য নাম দেওয়া হয়েছে কালো পাহাড়। 

তিনি বলেন, আমরা এই গরুর দাম ১২ লাখ টাকা চাচ্ছি। কেউ ৭ লাখ, কেউ সাড়ে ৭ আবার কেউ ৮ লাখ বলছেন। এখন পর্যন্ত ৮ লাখ টাকা দাম উঠেছে। এই গরুতে ১ টন (১ হাজার কেজি) মাংস রয়েছে।

৫ দিন আগে ‘কালো পাহাড়’কে এই হাটে আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে ক্রেতারা নেওয়ার মতো দাম বলছেন না। 

তিনি জানান, রাজধানী ঢাকার কাজলাতে রয়েছে তাদের খামার। খামার থেকে 'কালো পাহাড়' ছাড়াও আরও ২০টি গরু বিক্রির জন্য এখানে আনা হয়েছে। আরও ২৫টি গরু আনা হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, ফরিদপুর থেকে ২০টি গরু নিয়ে এ হাটে এসেছেন নজরুল নামের একজন বিক্রেতা। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০টি গরুর মধ্যে এখন পর্যন্ত দুটি গরু বিক্রি হয়েছে। হাটে ক্রেতা সমাগম এখন পর্যন্ত ভালো আছে।

শেষ পর্যন্ত সবগুলো গরু বিক্রি করে বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে আশা নজরুলের।

অন্যদিকে, ট্রাকে করে ১৯টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন জাফর মাতব্বর নামের আরেক ব্যবসায়ী। ট্রাক থেকে গরু নামানোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি।

জাফর মাতব্বর ঢাকা পোস্টকে জানান, ৪০ বছর ধরে এ ব্যবসা করি। আমার খামার নেই। তবে কোরবানি ঈদে এই ব্যবসা করি। ১৯টি গরুর মধ্যে সর্বনিম্ন দাম ১ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা দাম হাঁকাবেন তিনি। 

এই হাটে গরু কিনতে এসেছেন যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা আলী আজম নামে একজন চাকরিজীবী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, গরুর দাম অতিরিক্ত হাঁকাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সেজন্য এখন পর্যন্ত কিনিনি। তবে ঘুরে-ঘুরে দেখছি। আজকে দামে না মিললে কাল বা পরশু কিনবো।

সোহেল নামের আরেকজন ক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাটে এসেছি একটু আগে। এখনো দাম যাচাই করা হয়নি। দাম মিললে আজকেই কিনে ফেলবো। 

হাটের ইজারাদার মো. কামরুজ্জামান জানান, হাটের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিক্রি কিছুটা কম হলেও আগামী দুদিন অনেক বাড়বে।

এসএইচআর/এসএম