দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে ঘিরে ইতোমধ্যে জমে উঠেছে পশুর হাটগুলো। গরু-ছাগল বেচা-কেনার পাশাপাশি হাটকে কেন্দ্র করে রমরমা গো-খাদ্যের মৌসুমি ব্যবসাও। কোরবানিকে কেন্দ্র করে কিছুটা অর্থ উপার্জন করাই তাদের মূল লক্ষ্য। প্রতি বছর এই সময় কোটি কোটি টাকার বিক্রি হয় বলেও জানান বিক্রেতারা। তবে গো-খাদ্যের দাম আগের তুলনায় অনেক বাড়তি বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।

সোমবার (২৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর আফতাবনগর হাট সরেজমিনে ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

হাট ঘুরে দেখা গেছে, তিন ডালের কাঁঠাল পাতা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে। এছাড়াও ঘাস-খড় বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে। এছাড়া ভুসি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি খুদ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, তিলের ভুসি ১২০ টাকায় ও খৈল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

ঈদকে কেন্দ্র করে দুই লাখ টাকায় গরু কিনেছেন রফিকুল ইসলাম। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, গরুর জন্য পাঁচ মুটি কাঁচা ঘাস নিয়েছি ১৫০ টাকায়। এগুলো আজকের রাত যাবে, কালকে এসে আবার নিয়ে যেতে হবে। দুই-তিন দিন যাই সময় আছে, ঘাস, ভুসি, খড় খাইয়ে রাখতে হবে।

দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভুসি ১০০ টাকা কেজি, খৈল ১০০ টাকা কেজি ও ঘাস ৫০ টাকা করে। দামটা তো অস্বাভাবিক, তারপরও কিছু করার নেই। এটা তাদের মৌসুম, ব্যবসা করবেই।

রাজধানীতে নিয়মিত ভ্যান-রিকশা চালান মো. আবুল মিয়া। গরুর হাটকে কেন্দ্র করে তিনি খৈল ও ভুসিসহ শুকনো খড় বিক্রি করছেন তিনি। আবুল মিয়া বলেন, আজকে মোটামুটি বিক্রি হয়েছে, তবে আশা করছি কাল থেকে ভালোই বিক্রি হবে। সবমিলিয়ে ঈদের এই কয়েক দিনে ভালোই ব্যবসা হয়।

মেরুল বাড্ডা এলাকায় আখের রস বিক্রি করেন মো. করিমুল্লাহ। ঈদকে কেন্দ্র করে আফতাবনগর গেটের পাশেই কাঁচা ঘাস বিক্রি করছেন তিনি। জানতে চাইলে করিমুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতি ঈদেই আমি খড়-ঘাস বিক্রি করি। এবার ঈদে ঘাস বিক্রি করছি কুমিল্লা থেকে এনে। ঈদকে কেন্দ্র করে কিছু অতিরিক্ত ইনকাম করি।

ঘাসের চাহিদা কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাঁচা ঘাসের চাহিদা প্রচুর। আজ থেকেই মূলত আমাদের বিক্রি শুরু হয়েছে। আমাদের এই ব্যবসাটাই মূলত তিন দিনের। তিন দিনেই দেখা যায় যে, ৭ হাজার মুটি কাঁচা ঘাস বিক্রি হয়ে যায়। আশা করছি এবছরও ভালো ব্যবসা করতে পারব।

টিআই/কেএ