রাজধানীতে কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। পরিদর্শনকালে সচিব কোরবানির পশুর হাটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর পরিচালিত ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের কার্যক্রম তদারকি করেন। অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত পশু যাতে হাটে আসতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের সদস্যদের নির্দেশনা দেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর আফতাবনগরে কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন করেন ড. নাহিদ রশীদ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহিনা ফেরদৌসী, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর গাবতলীতে কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন করেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব।

এসময় তিনি হাট ঘুরে দেখেন এবং বেশ কয়েকজন খামারি ও ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, রাজধানীতে এবার ১৯টি কোরবানির পশুর হাট বসেছে। এসব হাটে ইতোমধ্যে কেনা-বেচা শুরু হয়ে গেছে। প্রতিটি হাটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে।

ড. নাহিদ রশীদ বলেন, কোরবানির পশুর হাটে অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত প্রাণী আছে, এটা যেন কেউ বলতে না পারে। সেটা নিশ্চিত করার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে। সেজন্য সারা দেশের কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল সেবা দেওয়ার কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একটি কেন্দ্রীয় সমন্বয় টিম, পাঁচটি মনিটরিং টিম, ২২টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম ও দুটি বিশেষজ্ঞ ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে।

অপরদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৯ জন উপসচিব ঢাকার কোরবানির পশুর নির্ধারিত হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রম তদারকির দায়িত্ব পালন করছেন।

এসএইচআর/এসএসএইচ/