ছবি : সংগৃহীত

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

মানিকগঞ্জে সরকারি ওষুধ কারখানার জন্য যে সাড়ে ৩১ একর জমি প্রস্তাব করা হয়েছে, সেখানকার ১১ একর ১৪ শতক জমি কেনেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের মেয়ে সিনথিয়া মালেক। তিনি এ জমি ভরাট করে ভিটি শ্রেণিতে পরিবর্তন করেন।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

অধিগ্রহণের আগেই সরকারি প্রকল্পের জমি কিনে নেন মন্ত্রী ও তাঁর ছেলেমেয়ে

মাস সাতেক পর ওষুধ কারখানা স্থাপনের প্রকল্প পাস হয়। তার ২০ দিন আগে কেনা মূল্যের প্রায় দ্বিগুণ দেখিয়ে এসব জমি স্বামী আলতাফ আকমলকে দান করেন সিনথিয়া। এখন সরকার এ জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে সর্বশেষ মূল্যের তিন গুণ বেশি টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মেয়ে সাড়ে ৭ কোটি টাকায় যে জমি কিনেছেন, সেটা সরকার অধিগ্রহণ করলে ৪০ কোটি টাকা পাবেন তিনি বা তাঁর স্বামী।

১৩৩ দিন (প্রায় সাড়ে চার মাস) ধরে শেখ ফরিদ মৃধা নামের এক ব্যক্তি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বসে আছেন। প্রথমে পাটি বিছিয়ে স্ত্রী নাসরিন আক্তার এবং ৩ বছর বয়সী মেয়ে খাদিজাকে নিয়ে সকাল–সন্ধ্যা প্রেসক্লাবের সামনে বসে থাকতেন । প্রচণ্ড গরমে স্ত্রী ও সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ি চলে যান। এখন ৬০ বছর বয়সী মা ফাতেমা বেগম ছেলের সঙ্গে আছেন।

প্রথম আলো

১৩৩ দিন ধরে প্রেসক্লাবের সামনে কেন ফরিদের অবস্থান 

শেখ ফরিদের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের রুস্তমপুর গ্রামে। প্রেসক্লাবের সামনে বড় একটি ব্যানারে তিনি দাবিগুলো লিখে রেখেছেন। ব্যানারে অবস্থানের কততম দিন হলো, সেটিও লিখে রাখেন।  ফরিদের ভাষ্য, জায়গাজমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। জীবনের নিরাপত্তা নেই বলে তিনি বাড়ি ফিরতে পারছেন না।

চলতি বছর দেশে বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু রোগের পরিস্থিতি ভয়াবহতার আভাস দিচ্ছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছুটে যাচ্ছেন।

যুগান্তর

ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি

এবার ডেঙ্গুর এই ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ধারায় রাজধানীর ৪৩ শতাংশের বেশি বহুতল ভবনে এডিসের লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই পরিস্থিতি দিন দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন >>> ডেঙ্গু : এত ভয়াবহ আকার ধারণ করল কেন? 

জলবায়ু পরিবর্তনে রাজধানীসহ সারা দেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধি; বৃষ্টির ধরন পালটে যাওয়া এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণসহ নানা কারণে ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে। এবার বর্ষা মৌসুমের আগেই ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে।

যুগান্তর

ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলেই পরীক্ষা করাতে হবে

ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশা প্রজননের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিদিন সারা দেশে অসংখ্য মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে, হাসপাতালে ছুটছে।

দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ২০১৯ সালে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক্‌-বর্ষা জরিপের তথ্য বলছে, এবারের পরিস্থিতি ২০১৯ সালের চেয়েও কয়েক গুণ খারাপ। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবার ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার ঘনত্ব এবং সম্ভাব্য প্রজননস্থলের সংখ্যা সর্বোচ্চ।

প্রথম আলো

এবার ডেঙ্গু ভয়ানক রূপ নিতে পারে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এবার ঢাকার ৯৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৫টিই উচ্চ ঝুঁকিতে। ডেঙ্গুর মৌসুম গত বছরের মতো দীর্ঘ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

গ্যাস উত্তোলনের দিক থেকে বিবিয়ানা দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস ফিল্ড। মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরনের নিয়ন্ত্রণাধীন এ গ্যাস ফিল্ড স্থানীয় গ্যাসের মোট ৩৮ শতাংশ জোগান দিচ্ছে। ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে উৎপাদনে থাকা এ গ্যাস ফিল্ডে মজুদ রয়েছে আর মাত্র ২৫৪ বিসিএফ (বিলিয়ন কিউবিক ফুট) গ্যাস।

বণিক বার্তা

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস ফিল্ডের আয়ুষ্কাল আর মাত্র এক বছর

পেট্রোবাংলার হিসাবে দেখা গেছে, গত ছয় মাসে দৈনিক গড়ে প্রায় ১ হাজার ১৫০ এমএমসিএফ (মিলিয়ন কিউবিক ফুট) গ্যাস উত্তোলন হয়েছে। এ হারে গ্যাস উত্তোলন করা হলে মজুদকৃত গ্যাসের আয়ুষ্কাল হবে মাত্র ২২০ দিনের মতো। আর উত্তোলন কমে তা দৈনিক ৮০০ এমএমসিএফে নামলেও তাতে মেয়াদ এক বছরের বেশি নয়।

রাজধানীর গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কার্যালয় (নগর ভবন) ও সচিবালয়ের মাঝে ওসমানী উদ্যানের অবস্থান। প্রায় ২৩ দশমিক ৩৭ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত উদ্যানটির বেশির ভাগ অংশই অর্থাৎ ৫২ শতাংশ এখন কংক্রিটে ঢাকা।

বণিক বার্তা

খোলা জায়গা ও পার্কে কংক্রিটের আচ্ছাদন নগরীর জলাবদ্ধতা বাড়িয়েছে

পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বনানী পার্ক, বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ পার্কগুলোর চিত্রও প্রায় একই। অথচ ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী কোনো পার্ক বা উদ্যানের ৫ শতাংশের বেশি অংশে কংক্রিটের আচ্ছাদন দেয়ার নিয়ম নেই।

উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে অনেক জায়গায় বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। কোথাও কোথাও নদীতে বিলীনও হয়েছে। ঝুঁকিতে আছে বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের কয়েকশ কিলোমিটার অংশ। বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে।

সমকাল

উত্তরের ৬ জেলায় বাঁধে ভাঙন, সংস্কারে অবহেলার খেসারত

২০২১-২২ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে পাউবোর বাস্তবায়নাধীন ১০১টি প্রকল্পের মধ্যে ৫৩টি নদীতীর সংরক্ষণের প্রকল্প নেওয়া হয়। চলতি ২০২৩ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

রাজধানীর তুরাগের বাউনিয়া আদর্শপাড়ায় স্বামীর সঙ্গে থাকতেন ৩০ বছর বয়সী মুক্তা। তবে গত ৩-৪ মাস খোঁজ-খবর নিচ্ছিলেন না তাঁর স্বামী। তাই স্বাবলম্বী হতে নিজেই চাকরি খুঁজছিলেন।

সমকাল

নারী ও কন্যাশিশুর ওপর বাড়ছে নির্যাতন অপরাধীরা আড়ালে

ছয় মাসে শারীরিক-মানসিকসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১ হাজার ৫২০ নারী ও কন্যাশিশু। এর মধ্যে ২২৩ জন কন্যাশিশুসহ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩২৬ জন। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬০ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২১ কন্যাশিশুকে। এ পরিসংখ্যান বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের।

আরও পড়ুন >>> নারী নির্যাতন প্রতিরোধ এবং আমাদের মানসিকতা 

দেশের বর্তমান জাতীয় শিক্ষানীতি সংসদে পাস হয় ২০১০ সালের ৭ ডিসেম্বর। এ শিক্ষানীতির অন্যতম মৌলিক বিষয় হলো প্রাথমিক শিক্ষাস্তর হবে পঞ্চম শ্রেণির পরিবর্তে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। ২০১১-১২ অর্থবছরে এ কার্যক্রম শুরু করে ২০১৮ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে তা বাস্তবায়নের কথা ছিল। এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এটি বাস্তবায়িত হয়নি।

সমকাল

অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা আর কবে

জাতীয় শিক্ষানীতির ওই সিদ্ধান্ত আদৌ বাস্তবায়ন হবে কিনা, সেটাও এখন পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। কারণ, চলতি বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। এ শিক্ষাক্রমে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ‘প্রাথমিক স্তর’ ধারণাটি পুরোপুরি বাদ রয়েছে এবং এতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ‘নিম্নমাধ্যমিক স্তর’ ধরা হয়েছে। শুধু তাই নয়, জাতীয় শিক্ষানীতির অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক সিদ্ধান্ত এক যুগেও বাস্তবায়ন হয়নি।

সচেতন থাকার পরও কেন এমন হলো তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত ইনজেকশন নিতেন তিনি। তারিখ অনুযায়ী বিনামূল্যের ইনজেকশন নিতে মেরী স্টোপস নামক বেসরকারি সংস্থার ক্লিনিকে গেলে সেখান থেকে জানানো হয়, ইনজেকশন নেই। পরে ওষুধের দোকান থেকে ইনজেকশন নিলেও সেটা কাজ করেনি।

প্রতিদিনের বাংলাদেশ

বিনামূল্যের সামগ্রী সহজে মেলে না

জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারে উৎসাহ বাড়াতে মাঠপর্যায়ে পরিবার কল্যাণ সহকারী কাজ করেন। তাদের কাজ বাড়ি বাড়ি গিয়ে সক্ষম দম্পতির নাম রেজিস্ট্রেশন করা, জন্মনিয়ন্ত্রণের কোন পদ্ধতি তাদের জন্য ভালো হবে, সে সম্পর্কে জানানো। মাস শেষে রেজিস্ট্রিকৃতদের নাম পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের কাছে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হয়। তবে বিভিন্ন বস্তিতে ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ নারীকেই ইনজেকশন বা বড়ি দোকান থেকে কিনতে হয়। চিকিৎসকের কোনো পরামর্শ ছাড়াই ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে সেবন করেন তারা।

এছাড়া তাঁরা খুঁজে দেন সোনা-রুপা; সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ পাচ্ছে না সরকার; শুধু মশা আছে আর কিছু নেই; অর্থায়নের ব্যবস্থা ছাড়াই ৩ প্রকল্প অনুমোদন; সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।