হার্ট, কিডনি সুস্থ রাখতে ও গরমে শরীর ঠাণ্ডা রেখে হিট স্ট্রোকেরও ঝুঁকি কমায় রসালো ফল তরমুজ / ছবি- এস এম মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম

ঘাম ঝরানো চৈত্রের গরমে তরমুজ খেতে কার না ভালো লাগে। শুধু ভালো লাগা নয়, এটি উপকারী ফলও বটে। হার্ট, কিডনি সুস্থ রাখতে, শরীর ঠাণ্ডা রেখে হিট স্ট্রোকেরও ঝুঁকি কমায় রসালো ফল তরমুজ।

বিশ্বব্যাপী প্রায় এক হাজার জাতের তরমুজের দেখা মেলে। কিন্তু দেশে সবুজ ও কালো রঙের তরমুজের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে আসা শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন এই ফল।

দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে সদরঘাটের বাদামতলি হয়েই এই ফল রাজধানীতে প্রবেশ করে তরমুজ। 

যারা গরমে কাজ করে বা বেশি ঘাম হয় তাদের নিয়মিত তরমুজ খাওয়া দরকার। এতে শরীর তাড়াতাড়ি দুর্বল হয় না, থাকে সতেজ-প্রাণবন্ত।

পুষ্টি গুণে ভরা ফল তরমুজ। 

ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস তরমজু। তরমুজের প্রায় ৯২ শতাংশই পানি। তাই প্রচণ্ড গরমে শরীরে পানির চাহিদা পূরণে এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে তরমুজ।

লঞ্চ ও স্টিমার যোগে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা এ তরমুজ নৌকায় করে সদরঘাটের কদমতলী ফলের আড়ৎগুলোতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। 

মাঘ-ফাল্গুন হচ্ছে তরমুজ চাষের সময়। তবে হাইব্রিড জাতের বীজ গোটা ফাল্গুন মাস ধরে লাগানো যায়। আমাদের দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত হল সুগার বেবি। ওপেন পলিনেটেড গোলাকার সমান আকৃতির ঘন সবুজ আবরণের ঘন লাল অভ্যন্তর জাতটি বেশি চাষ হয়।

সবুজ তরমুজের সমাগম সদরঘাটের কদমতলীতে। 

প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও অন্যান্য খাদ্য উপাদান রয়েছে তরমুজে। রাতকানা, কোষ্ঠ-কাঠিন্য, অন্ত্রীয় ক্ষত, রক্তচাপ, কিডনিসহ নানা ধরনের অসুখ প্রতিরোধ করে এ ফল।

কদমতলী থেকে এসব তরমুজ চলে যায় রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে। 

সকাল বা বিকেলের দিকেই তরমুজ খাওয়ার আদর্শ সময়। সেই সঙ্গেই অতিরিক্ত তরমুজ খাওয়ার আগে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এর ফলে তরমুজ থেকে শরীর খারাপ হওয়ার ঝুঁকি কমে। পানি থেকে তুলে তরমুজ টাটকা খাওয়াই ভালো।

এমএইচএস