সাংবাদিকদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ
বায়তুল মোকাররমে সাংবাদিকদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (২৯ মার্চ) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী পর্ষদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এমনকি প্রেসক্লাবেও হামলা হয়েছে। দেশের অন্যান্য জায়গায়ও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। যারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তারাই হামলা করেছে। বায়তুল মোকাররমে যদি কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, আমরা অবশ্যই দলের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখব। কেউ সাংবাদিকদের ওপর হামলায় জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় কোনো সাংবাদিকের ওপর হামলা দুঃখজনক, অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো ঘটনা ঘটলে সেটি জনগণকে জানানোর দায়িত্ব সাংবাদিকরা পালন করবেন এটিই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে আমি সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষকে অনুরোধ জানাব, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় যেন কোনো সাংবাদিক নিগৃহীত না হয়, কোনো সাংবাদিকের ওপর যেন হামলা করা না হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ২৬ মার্চ বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। এ হামলা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর হামলার শামিল। যেটিতে সমর্থন দিয়েছে বিএনপিজামায়াত।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে সুর মিলিয়ে মির্জা ফখরুল যখন বলেন যে তারা সরকার পতনের আন্দোলন ডাক দেবেন। তার মানে এসব নৈরাজ্যগুলো তাদের পরামর্শ ও পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে, এটিই প্রমাণিত হয়। এসব নৈরাজ্য মোদির আগমনের জন্য করা হয়নি। এগুলো করা হয়েছে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য। মোদির আগমনের বিষয়টি একটি খোঁড়া যুক্তি হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের মাধ্যমে সেটিই প্রমাণিত হয়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, হরতাল শেষ হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জে ৯টি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। রাস্তার ওপর দেয়াল তুলে দেওয়া হয়েছে। এগুলোর পক্ষ নিয়েছে বিএনপি ও তাদের ঘরণার কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী। এতেই প্রমাণিত হয়, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল, একই গোষ্ঠী আজ নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। এতেই প্রমাণ হয় তারা আসলে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে আঘাত হানতে চায়।
এসএইচআর/ওএফ