গত ২৪ মার্চ পায়রা বন্দরে পৌঁছে বগিগুলো

জাপানের কোবে বন্দর থেকে ছেড়ে আসা জাহাজে দেশের প্রথম মেট্রোরেলের ছয়টি বগি মঙ্গলবার (৩০ মার্চ)  বিকেলে মোংলা বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।

জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ও  ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে জানা গেছে, এটি জাপান থেকে মেট্রোরেলের বগির প্রথম চালান। জাপানের কোবে বন্দর থেকে এমভি এসপিএম ব্যাংকক নামে একটি জাহাজ এসব বগি বহন করে গত ২৪ মার্চ পায়রা বন্দরে পৌঁছেছিল। বগি ছয়টি নিয়ে পায়রা বন্দর থেকে জাহাজটি সোমবার বিকেল ৪টায় মোংলা বন্দরের দিকে রওনা দিয়েছে। বিকেল ৩টা নাগাদ জাহাজটি মোংলা বন্দরে ঢুকবে বলে আশা করা হচ্ছে। মোংলা বন্দরের জেটিতে জাহাজটি ভিড়লে বন্দরের ৯ নম্বর ইয়ার্ডে খালাস হবে বগিগুলো। 

ডিএমটিসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মোংলা বন্দরে বগিগুলো আসবে মঙ্গলবার বিকেল  নাগাদ। তারপর এগুলো বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করে ঢাকায় প্রকল্প এলাকায় আনা হবে।

প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য ২৪ সেট ট্রেন তৈরি করছে জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি। প্রতি সেট ট্রেনের দুপাশে দুটি ইঞ্জিন থাকবে। এর মধ্যে থাকবে চারটি করে কোচ। একেকটি ট্রেনের দাম পড়ছে ৩ হাজার ২০৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা করে। শুল্ক ও ভ্যাট মিলিয়ে এসব ট্রেন বাংলাদেশে আসার পর মোট খরচ পড়বে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা করে। প্রথম ধাপে পাঁচটি ট্রেন আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছবে। দ্বিতীয় সেট ট্রেনটি জাপান থেকে ১৫ এপ্রিল রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। এটি ঢাকায় পৌঁছাতে পারে ১৬ জুন। তৃতীয় সেটটি ১৩ জুন রওনা দিয়ে ১৩ আগস্ট ঢাকায় পৌঁছানোর কথা।  এরই মধ্যে প্রকল্প এলাকায় পাঁচটি রেলস্টেশন প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।

দেশে মেট্রোরেলের সেটগুলো আনার আগে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ডিএমটিসিএলের একটি বিশেষজ্ঞ দলের জাপান যাওয়ার কথা ছিল। করোনা প্রাদুর্ভাবের ফলে জাপান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ কারণে ট্রেনগুলো জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায় ডিএমটিসিএল।

উল্লেখ্য, ট্রেনগুলোয় ডিসি ১৫০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোয় থাকবে লম্বালম্বি সিট। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুপাশে থাকবে চারটি করে দরজা। জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের নিরাপত্তাব্যবস্থা সংবলিত প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে ১ হাজার ৭৩৮ জন। মেট্রো রেলপথটি হবে উড়াল রেলপথ। প্রায় ২০ কিলোমিটার রেলপথটি পরে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত হবে।

পিএসডি/এসকেডি