গত ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া মশক নিধন অভিযানে আজ পর্যন্ত  ৮ দিনে ১২০টি মামলায় মোট ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

এছাড়া মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানে আজ এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৩টি মামলায় মোট ৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ডিএনসিসির মুখপাত্র মকবুল হোসাইন জানান, রোববার (১৬ জুলাই) অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন তেজগাঁও শিল্প এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা বাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন ও নির্মাণাধীন ভবন, ফাঁকা প্লট, ড্রেন, ঝোপঝাঁড়ে মশক বিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪টি ভবন মালিককে ৪টি মামলায় মোট ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া অঞ্চল-০৪ এর আওতাধীন ১০ নং ওয়ার্ডের মাজার রোড এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান। অভিযানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২টি ভবনের মালিককে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় প্রায় ১১০টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে।

অঞ্চল-৫ এর মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে ৫টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৫ টি মামলায় মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ফার্মগেটে ঝোপঝাড়ে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান।

ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে ২টি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অঞ্চল-২ এর আওতাধীন পল্লবী থানা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান।

অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন  এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাটসহ মোট ৪৬০টি স্পট পরিদর্শন করা হয়।

অঞ্চল ১ আওতাধীন খিলক্ষেত এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন। একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়৷ ভবিষ্যতে লার্ভা উৎপন্ন হতে পরে এমন স্থানসমূহে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে ডেঙ্গুর বিষয়ে সকলকে সতর্ক ও সচেতন করা হয়েছে।

মকবুল হোসাইন বলেন, মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান তদারকির জন্য সকল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দশটি টিম গঠন করা হয়েছে। ১০টি টিম প্রতিদিন চলমান অভিযান তদারকি করছে।

এএসএস/এসকেডি