ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দ্বোরাইস্বামী - সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন হবে আগামী বছর। বছরটিতে দুই দেশের ছয়টি অভিন্ন নদীর পানির হিস্যার বিষয়ে সুরাহা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দ্বোরাইস্বামী।

গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান তিনি।

ভারত-বাংলাদেশের অভিন্ন ওই ছয়টি নদী হলো- মুহুরি, খোয়াই, ধরলা, দুধকুমার, মনু ও গোমতী। 

হাইকিশনার বলেন, ‘আমরা ছয় নদীর পানিবন্টন নিয়ে খুব দ্রুতই সমাধানে পৌঁছাতে চাই। আমরা চাই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের মধ্যে এটা হোক।’

এ সময় ভারত ও বাংলাদেশের আত্মার বন্ধন খুবই শক্তিশালী বলে উল্লেখ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার।

গত ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে ছয়টি অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় দুই প্রধানমন্ত্রী এই ছয়টি নদীর সমস্যা দ্রুত সমাধানের তাগিদ দেন।

সেদিন দুই শীর্ষ নেতার সম্মেলন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের জানান, তিস্তা বাদে অন্য ছয় নদীর সমস্যার বিষয়ে খুব শিগগিরই বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশন বৈঠক করবে।

ঢাকা-নয়া দিল্লির মধ্যে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক আগামী ৫-৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়।  

আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ঢাকা-নয়া দিল্লির মধ্যে জেআরসি বৈঠকের কথা জানিয়ে বিক্রম দ্বোরাইস্বামী বলেন, ‘জেআরসির টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠক জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। তারা এটার সমাধান কীভাবে করা যায় তার একটা ফ্রেমওয়ার্ক করবে। এরপর পানি সচিব ঠিক করবেন দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক উদযাপনের মধ্যে কীভাবে চূড়ান্ত সমাধানে আসা যায়।’

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকায় গত বছর দুই দেশের পানিসম্পদ সচিবদের বৈঠকে ছয়টি অভিন্ন নদী নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেই তথ্য-উপাত্ত ভারতকে দেয়া হয়েছে। এবারের বৈঠকে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।   

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘সবারই পানির প্রয়োজন আছে। আমরা পানি বন্টন করতে চাই। আমরা বন্ধু, আমরা প্রতিবেশী। আমি মনে করি, আমরা খুব দ্রুতই সমাধানে যেতে পারব।’

এনআই/এইচকে