প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অবিলম্বে বইমেলা, সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদনকেন্দ্রসহ যেকোনো জনসমাগম বন্ধ করার সুপারিশ করেছে কোভিড ১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভায় কয়েকটি সুপারিশ গৃহীত হয়েছে।

সুপারিশগুলো হলো-

১. প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ কমানোর লক্ষ্যে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। পরামর্শক কমিটি এ নির্দেশনা জারিকে স্বাগত এবং ধন্যবাদ জানায়। তবে এগুলো কার্যকর করার জন্য বাস্তবায়ন কর্মসূচি বা প্রস্তুতি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন।

২. হাসপাতালসমূহে যথাসম্ভব কোভিড ১৯ রোগীর শয্যাসংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। আইসিইউতে শয্যা বাড়ানো দরকার। ঢাকার বাইরে মেডিকেল কলেজগুলোর সক্ষমতা বাড়িয়ে সেখানে এলাকার রোগীর চিকিৎসা করা দরকার।

৩. কোভিড ১৯ এর জন্য টেস্ট করতে আসা মানুষ যাতে সহজে সেবা পান, তার ব্যবস্থা করা দরকার। আগামী দিনগুলোতে করোনা টেস্ট করার চাহিদা বাড়তে পারে, সেটি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি প্রয়োজন।

৪. রোগ প্রতিরোধের জন্য অবিলম্বে সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদনকেন্দ্র, বইমেলা ও অন্যান্য মেলা বন্ধ করা দরকার। পরিবহনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা এ সম্পর্কে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব নির্দেশনা যাতে পালন করা হয়, তার ব্যবস্থা নিতে হবে। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে দিকনির্দেশনা নেওয়া যেতে পারে।

৫. পোস্ট ভ্যাকসিনেশন সার্ভিলেন্সের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং এটি একটি ভালো উদ্যোগ মনে করে কমিটি জানিয়েছে, জেনেটিক সিকোয়েন্সিং করা দরকার। এ জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর দেশে একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে, ২০২০ সালের ৩০ জুন একদিনে ৬৪ জন মারা গিয়েছিলেন। এ নিয়ে করোনায় দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল নয় হাজার ১০৫ জনে। এদিন নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৪৬৯ জন। এ নিয়ে সর্বমোট শনাক্তের সংখ্যা ছয় লাখ ১৭ হাজার ৭৬৪।

টিআই/আরএইচ