ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ
ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করার পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) প্রেস ক্লাবের সামনে মহিলা পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত মানববন্ধনে এ তাগিদ দেন বক্তারা।
ঢাকা মহানগর শাখার অর্থ সম্পাদক ফেরদৌস জাহান রত্না বলেন, মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করতে হবে। ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার বর্জন করতে হবে। পাড়া এবং মহল্লায় নিয়মিতভাবে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে হবে। বর্ষার শুরুতেই রাস্তাঘাট, খানা-খন্দ, ডোবা-নালা, ঝিল পরিষ্কার করে পর্যাপ্ত পরিমাণ কীটনাশক ছিটিয়ে দিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর রক্ত সংগ্রহ, স্যালাইন, সরবরাহ ও পরীক্ষাগুলো স্বল্পমূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে এবং যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের সকল চিকিৎসালয়ে আক্রান্ত রোগীদের রক্তের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিতে হবে। এলাকাভিত্তিক পর্যাপ্ত লোকবলের ব্যবস্থা করে, প্রয়োজনে টিম গঠন করে আক্রান্ত রোগীর পরিবারকে সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। যেকোনো পাত্রে জমে থাকা পানি তিন দিন পরপর পরিষ্কার করতে হবে। ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত আসবাব পরিষ্কার রাখতে হবে। ব্যবহৃত পাত্রে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ঘসে পরিবর্তন করতে হবে। অব্যবহৃত পানির পাত্র উল্টো রাখতে হবে। পরিবারে ও আশেপাশের পরিবেশে স্বাস্থ্যকর অবস্থা বজায় রাখতে হবে।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে মহিলা পরিষদ ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রেহেনা ইউনুস বলেন, শুধুমাত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় মশা যাবে না। মশা অধিক পরিমাণে বেড়েছে। মশা যে তার পরিবার বৃদ্ধি করার সুযোগ পেয়েছে সেই সুযোগ কিন্তু আমাদের দেশের প্রধানরা দিয়েছে। আমরা তাদের কাছে আমাদের বাঁচার গ্যারান্টি চাই। আমাদের দেশের প্রধানরা বলে এডিস মশার রূপ পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু তাদের জন্য কি কোনো ওষুধ নেই? আমরা তো কোথাও মশক নিধনের কোন কর্মসূচি দেখছি না।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু ধর, সাংগঠনিক সম্পাদক কানিজ ফাতেমা টগর ও আন্দোলন সম্পাদক জুয়েলা জেবুননেসা খান প্রমুখ।
ওএফএ/এসকেডি