আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ/ ফাইল ছবি

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে বলপ্রয়োগ নয় বরং জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

রোববার (৪ এপ্রিল) পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ নির্দেশনা দেন। আইজিপি বলেন, গত বছরের মতো এবারও খোলা বা উন্মুক্ত স্থানে বাজার বসার ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব দোকানপাট খোলা থাকবে সেখানে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে। 

বিদেশফেরত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা সম্পর্কে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে কেউ এলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের অবস্থানস্থল চিহ্নিত করতে হবে।

তিনি বলেন, জরুরি সেবাসমূহ, শিল্পকারখানা এবং গার্মেন্টস খোলা থাকবে। গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। পণ্যবাহী যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে।

পুলিশ অফিসার ও ফোর্সকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে আইজিপি বলেন, স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে দায়িত্ব পালন করতে হবে। করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃতব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়ার প্রয়োজন হলে অবশ্যই পিপিই, ফেসশিল্ড, মাস্ক ইত্যাদি সুরক্ষাসামগ্রী যথাযথভাবে পরতে হবে।

পুলিশের সব স্থাপনায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ নীতি কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন আইজিপি। পুলিশের সব স্থাপনা নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করতেও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন তিনি। 

আইজিপি বলেন, গত বছরের মার্চ মাসে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তা প্রতিরোধে পুলিশ জনগণের পাশে থেকে এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে মানবিক পুলিশে পরিণত হয়েছে। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায়ও পুলিশসহ সবাই মিলে সরকারি আদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে সচেষ্ট থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইজিপি।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। রোববার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। 

এআর/এইচকে/জেএস