গত ২১ আগস্ট ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত ‘সোনালী ব্যাংকে জমা রাখা টাকা ফেরত পেতে দুই গ্রাহকের আকুতি’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে সোনালী ব্যাংকের বাগেরহাট শাখা।  

ব্যাংকটির বাগেরহাট শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মো. ওয়াহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে প্রতিবেদনটিকে অসম্পূর্ণ ও
ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে- প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, শেখ মো. জালাল উদ্দিন অত্র শাখায় ৫ লাখ টাকার এমইএস হিসাবের বিপরীতে ২৫/০৯/২০১৩ তারিখে ৪ লাখ টাকার একটি ওডি ঋণ গ্রহণকরেন, যার স্থিতি ৫,২২,৯৮৫ টাকা (৩১/১২/২০১৫ পর্যন্ত) এবং একইভাবে টিপু শেখ ১০ বছর মেয়াদি এমডিএস হিসাবের বিপরীতে ১৫/০২/২০১৫ তারিখে একটি ওডি ঋণ গ্রহণ করেন যার স্থিতি ১,৬৭,৭২৭ টাকা (০২/১২/২০১৬) পর্যন্ত। উভয় ঋণের ক্ষেত্রে ঋণের চার্জ ডকুমেন্টসহ সকল কাগজপত্রে তাদের স্বাক্ষর হুবহু মিল থাকায় ব্যাংক ঋণ দুটিকে বৈধ হিসেবে মনে করে। এক্ষেত্রে ঋণ দুটি পরিশোধ করে তাদের ডিপোজিট হিসাব নগদায়ন করার জন্য ব্যাংক থেকে অনুরোধ করা হলে তারা ঋণের দায় অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করে ব্যাংকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।

প্রতিনিধির বক্তব্য 
প্রতিবেদনটি তৈরি করেছিলেন ঢাকা পোস্টের বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি। তিনি বলছেন, এ প্রতিবেদনে তার নিজের কোনো বক্তব্য নেই। ২১ আগস্ট দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে শেখ মো. জালাল উদ্দিন ও টিপু শেখ যে বক্তব্য রাখেন সেটিই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। 

এ প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

এনএফ