উত্তরা সড়কে গণপরিবহন নেই

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে চলছে না গণপরিহন। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিসহ অন্যান্য পরিবহন রাজধানীতে ঠিকই চলছে। গণপরিবহন না থাকায় কর্মজীবীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেকে যানবাহন পেলেও অনেকে আবার সঙ্কটে পড়েছেন। 

গণপরিবহনের তীব্র সঙ্কটেও রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দেখা গেছে তীব্র যানজট। সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর উত্তরা এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় অনেককে পরিবহনের জন্য অপেক্ষা দেখা গেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে অনেকে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

উত্তরার বাসিন্দা আকছেদ অফিসের উদ্দেশে রওনা হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে পরিবহনের অপেক্ষা করেছেন। পরিবহন না পাওয়ায় বাসায় ফিরে যাচ্ছেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভেবেছিলাম সকালে যাতায়াতের গাড়ি পাবো। কিন্তু কোনো গাড়িই পেলাম না।  

শুধু আকছেদই নন, তার মতো হাজারো যাত্রী সড়কে অপেক্ষা করছেন। তীব্র রোদে অপেক্ষা যেন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। আর ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ। বিশেষ করে নারীদের ভোগান্তি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। 

জরুরি প্রয়োজনে পরিবহন না পাওয়া অনেকের মাঝে ক্ষোভ দেখা গেছে। অনেকেই এ প্রতিবেদকের কাছে এভাবে সব ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে বিধিনিষেধ ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, সিএনজিতে দ্বিগুণ ভাড়া চাচ্ছে। আবার সময় মতো পাওয়া যাচ্ছে না। একজনের পক্ষে তো আর মাইক্রোবাস ভাড়া করে কয়েক কিলোমিটার যাওয়া সম্ভব না। তাহলে কীভাবে প্রয়োজনগুলোর সমাধান হবে।

ভূক্তভোগী অনেকেই জানান, সিএনজিতে দুজন যাওয়া যাবে। তিনজন নিচ্ছে না। আবার একজন যেতে চাইলে ভাড়া বেশি গুনতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাড়তি খরচ আছেই। তবে যাদের অফিস থেকে গাড়ির ব্যবস্থা আছে তারা একটু কম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন।

একে/আরএইচ