সোনাপাচারে যাত্রীকে সহযোগিতা করে ধরা খেলেন হেল্প সার্ভিসের স্টাফ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাচারের সময় ৩টি সোনার বার এবং ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালংকারসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। এপিবিএন জানায়, আসামিরা ১৫ হাজার টাকার চুক্তিতে সোনাপাচারের চেষ্টা করছিল।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) কাস্টমস গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার পর বিমানবন্দরের হেল্প সার্ভিস প্রোভাইডার স্টাফ মো. নাইমুর রহমান তন্ময় (২৬) এবং যাত্রী মো. আলমগীরকে (৪৮) এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, সোনা আমদানিতে ট্যাক্সের হার বেড়ে যাওয়া এবং বৈধভাবে শুধুমাত্র একটি গোল্ডবার ব্যাগেজ সুবিধায় বিনা ট্যাক্সে নিয়ে আসার নিয়ম করার পর পাচারকারী চক্র বিভিন্ন ধরনের কৌশলে সোনা পাচারের চেষ্টা করছে। এমনি একটি কৌশল ছিল হেল্পলাইন স্টাফ ব্যবহার করে সোনাপাচারের। যাত্রী আলমগীর আজ দুবাই থেকে আসা এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণ করেন। দুবাই থাকা অবস্থাতেই তিনি শুভেচ্ছা সার্ভিসের হেল্প সার্ভিসের স্টাফ তন্ময়ের সঙ্গে সোনাপাচারে সহযোগিতার বিনিময়ে ১৫ হাজার টাকার ডিল করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী বিমান থেকে নেমে যাত্রী আলমগীর বেল্ট এরিয়ায় দাঁড়িয়ে তন্ময়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হেল্পলাইন স্টাফ তন্ময় বেল্ট থেকে যাত্রীর কাছ থেকে ৩ পিস গোল্ডবার সংগ্রহ করেন এবং যাত্রীর মালামালসহ গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করেন।
কিন্তু বেল্টেই যাত্রীর কাছ থেকে গোপনে কিছু একটা গ্রহণ করে নিজের প্যান্টের পকেটে লুকিয়ে ফেলা তন্ময়কে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সাদা পোশাকের গোয়েন্দা দল নজরে রাখছিল। বিমানবন্দরের কাস্টমস গ্রিন চ্যানেল পার হয়ে সে যখন বের হয়ে যাচ্ছিল তখন তাকে আটক করা হয়। এসময় সে স্বীকার করে তার কাছে গোল্ড রয়েছে এবং পরে যাত্রীকেও শনাক্ত করলে যাত্রী আলমগীরকেও আটক করা হয় এবং এয়ারপোর্ট এপিবিএন এর অফিসে নিয়ে আসা হয়। এসময় তাদের তল্লাশি করলে হেল্পলাইন স্টাফ তন্ময়ের কাছে ৩টি গোল্ডবার যার ওজন ৩৪৮ গ্রাম এবং যাত্রী আলমগীরের কাছ থেকে ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপন
যাত্রী এবং হেল্পলাইন স্টাফকে জিজ্ঞাসাবাদে পরস্পর যোগসাজশে সোনাপাচারের পরিকল্পনার বিষয়টি তারা উভয়েই স্বীকার করেন। উদ্ধারকৃত সোনার মোট ওজন ৪৪৭ গ্রাম এবং বাজার মূল্য ৩০ লাখ টাকা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরো জানান, ওই যাত্রী আলমগীর মুন্সীগঞ্জ এবং হেল্পলাইন স্টাফ তন্ময় ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা দেওয়া হচ্ছে।
এআর/জেডএস