মগবাজারে গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর মগবাজারের গ্রিনওয়ে এলাকার একটি বাসা থেকে ফারজানা (১৪) নামে এক গৃহকর্মীর মরদেহ যাওয়া উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় হাতিরঝিল থানা পুলিশ।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন বলেন, মো. শাহাবুদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত ফারজানা। গৃহকর্তা শাহাবুদ্দিন ও ফারজানার বাড়ি ভোলা জেলায়। শাহাবুদ্দিন হাতিরঝিল থানার মগবাজার গ্রিনওয়ে ৪৫১/১ বাসার তৃতীয় তলায় পরিবার নিয়ে থাকেন।
বিজ্ঞাপন
গতকাল (শনিবার) রাত একটার দিকে ব্যবসায়িক কাজ শেষ করে ঢাকার বাইরে থেকে তিনি বাসায় আসেন। তিনি কয়েকবার কলিং বেল চাপলে তার স্ত্রী দরজা খুলে দেন। শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী একজন বেস্ট ক্যান্সার রোগী। হাত-মুখ ধুয়ে তিনি গৃহকর্মী ফারজানাকে খুঁজতে থাকেন। সেসময় তিনি দেখতে পান বাথরুমের ভেতর থেকে লাইট জ্বলছে এবং বাথরুমের দরজা লক করা।
সেসময় অনেক ডাকাডাকি করলেও ফারজানা দরজা খোলেনি। পরে দরজা ভাঙলে দেখা যায়, ভেতরে জামা-কাপড় রাখার রেলিংয়ের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফারজানা ঝুলে আছে। পরে তারা আমাদের খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এরপর ফারজানার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন
আওলাদ হোসেন বলেন, শাহাবুদ্দিন তার ৬৫ বছরের মা, তার স্ত্রী এবং ১২ ও ১৪ বছরের দুই সন্তানকে নিয়ে ওই বাসায় থাকেন। গৃহকর্মী ফারজানার বাড়ি ভোলা জেলার তজুমদ্দিন থানার চরজহুর উদ্দিন গ্রামে। সে ওই এলাকার রবিউল ইসলামের মেয়ে।
এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু ভেতর থেকে দরজা লাগানো ছিল এবং দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাই প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে আত্মহত্যাই মনে হয়েছে। আমরা তার পরিবারকে খবর দিয়েছি। তারা এখনো এসে ঢাকায় পৌঁছায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এদিকে গৃহকর্তা শাহাবুদ্দিনের মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন, আমি মোটরসাইকেলে আছি। আপনাকে বিস্তারিত জানাচ্ছি বলে তিনি ফোন রেখে দেন। এরপর তাকে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি আর রিসিভ করেননি।
এসএএ/কেএ