স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নানা স্তরে জনগণের জন্য নানা ধরনের সেবা প্রাপ্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এই সেবা প্রাপ্তি জনগণের অধিকার। সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে কখনও কখনও জনগণ নানা রকম ভোগান্তির শিকার হয়। 

তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতায়নের কথা শুনি কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের যথোপযুক্ত জবাবদিহিতার আওতায় আনা গেলে নাগরিকদের সেবা প্রাপ্তি সহজ ও ভোগান্তিমুক্ত হয়।
 
আজ (শনিবার) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন নিয়ে এক ছায়া সংসদের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালনের অংশ হিসেবে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি বিতর্ক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে। ‘স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করছে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা অংশ নেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে নানা রকমের শাসনব্যবস্থা ছিল একসময়। কখনও রাজ ব্যবস্থা, কখনও জমিদারি ব্যবস্থা কিংবা জোর করে দখলদারিত্বের মাধ্যমে পৃথিবী শাসিত হয়েছে। তবে বিভিন্ন শাসনব্যবস্থা পার হয়ে আধুনিক বিশ্বে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পক্ষে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ রায় দিয়েছে। কারণ, শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে কোনো দেশ ও জাতির উন্নয়ন দ্রুততর হয়।

মন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হচ্ছে এখানে নানা মত ও পথের মানুষ থাকবে। যুক্তির জয়ের মাধ্যমেই গণতন্ত্র তার পথ খুঁজে নেয়। তিনি উভয় পক্ষের বিতার্কিকদের সুন্দর যুক্তি তর্ক উপস্থাপনের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এ ধরনের চমৎকার একটি বিতর্কের পরিবেশে উপস্থিত হতে পেরে আমার নিজেরও খুব ভালো লেগেছে। আমি মনে করি উপস্থিত এই শিক্ষার্থীরাই একদিন যুক্তি নির্ভর ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

এ সময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে পর্দার আড়ালে কোনো রাজনৈতিক সংলাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেকোনো আলোচনায় একটি বিষয়বস্তু বা টার্মস অব রেফারেন্স নির্দিষ্ট করতে হয়। বাংলাদেশের মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা ভুলে যায়নি। সঠিক বিষয়বস্তু ঠিক করা গেলে তা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে, তবে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

এএসএস/এনএফ