চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছে সিংহী নোভা। শনিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে প্রাণীটি মারা যায়। মৃত্যুকালে এটির বয়স হয়েছিল প্রায় ১৮ বছর ৪ মাস। বার্ধক্যজনিত কারণে প্রাণীটি মারা গেছে বলে জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এক বছর ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ ছিল সিংহী নোভা।  ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাণীটি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। আজ (শনিবার) সকালে এটি মারা যায়।

২০০৫ সালে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় রাজ-লক্ষ্মী নামে সিংহ-সিংহীর জুটি ‘বর্ষা’ও ‘নোভা’ নামে দুটি সিংহীর জন্ম দেয়। এরপর তাদের বাবা-মা মারা যায়। ২০১৬ সালে রংপুর চিড়িয়াখানা থেকে বাদশাহকে এনে নোভার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিনিময়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে সিংহী বর্ষাকে পাঠানো হয়ে রংপুরে। তখন থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় একসঙ্গে ছিল বাদশাহ-নোভা জুটি।

মারা যাওয়া সিংহী নোভাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ। তিনি লেখেন, চাকরির শুরু থেকে সব সময় চাইতেন নোভার সঙ্গে ছবি তুলতে। এখন বার্ধক্যের কারণে নোভার বিভিন্ন অঙ্গ কাজ করছে না। এখন গায়ে হাত দেওয়া যাচ্ছে, কাছে যাওয়া যাচ্ছে। এ রকমভাবে কাছে আসতে চাইনি…আশা করি হঠাৎ অহংবোধে লাগবে আর আমাকে দৌড়ানি দেবে। আমি কোনো রকমে খাঁচা থেকে পালাব। আর আগের মতো ভয়ার্ত চোখে আমার দিকে তাকাবে…আহারে বার্ধক্য! না, ডা. শুভকে আর ভয় পেতে হবে না। খাঁচায় বন্দি জীবনে যে নোভার জন্ম তার জীবনাবসান ঘটেছে সেই খাঁচাতেই। দেড় যুগ নোভা দর্শনার্থীদের বিনোদন দিয়েছে। দুর্নীতি আর ফান্ড লুটপাটে যখন চিড়িয়াখানার কোনো শ্রী ছিল না তখন ছিল এই নোভা। নোভার সঙ্গে চট্টগ্রামের প্রাণী প্রেমিদের রয়েছে অসংখ্য স্মৃতি। শুধু নোভাকে দেখতেও একটা সময় মানুষ চিড়িয়াখানায় যেত। বিদায় নোভা।'

এমআর/এসকেডি