গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬২ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সবমিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ জনে। মোট মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৫৮৪ জনের।

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫১১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪১ জন।

এ সময়ে ৩১ হাজার ৮৭৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩১ হাজার ৫৬৪টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৯ লাখ ৪৭ হাজার ৪১২টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৬৩ জনের মধ্যে ৪৩ জন পুরুষ, বাকি ২০ জন নারী। এদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মোট মারা যাওয়া ৯ হাজার ৫৮৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ১৭৩ জন, নারী ২ হাজার ৪১১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৬৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই রয়েছেন ৪২ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ১০, রাজশাহীতে ২, খুলনায় ৩, বরিশালে ৪, সিলেট ও ময়মনসিংহের একজন করে রয়েছেন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মারা যাওয়া ৬৩ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৩৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১৬, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৪, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৫ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের ২ জন রয়েছেন।

গতকালের করোনা পরিস্থিতি

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দেশে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন ৬ হাজার ৮৫৪ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে মারা যান ৭৪ জন। যা দেশে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। গতকাল করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৯১ জন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

জরুরি সেবা ছাড়া বন্ধ থাকবে সব

এদিকে, ১৪ এপ্রিল থেকে সাত দিন জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যানবাহন, গার্মেন্টস কারখানাসহ সবকিছু বন্ধ থাকবে। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

তিনি জানান, লকডাউন চলাকালে কোনোভাবেই মানুষকে ঘরের বাইরে আসতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে রোববার (১১ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। 

করোনার লাগাম টেনে ধরতে গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশে এক সপ্তাহের কঠোর নিষেধাজ্ঞা চলছে। আজ এ নিষেধাজ্ঞার পঞ্চম দিন। এ সময়কালে ১১টি নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার। যদিও এর মধ্যে দুটি শিথিল করা হয়েছে। সীমিত পরিসরে চালু করা হয়েছে যানবাহন, খুলে দেওয়া হয়েছে শপিংমল, মার্কেট ও দোকানপাট।

২ সপ্তাহ কঠোর লকডাউন চায় জাতীয় কারিগরি কমিটি

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন চায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটি। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এফআর/জেএস