জন কেরিকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি সংক্ষিপ্ত সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন। শুক্রবার বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জন কেরিকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষে জলবায়ু বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে ঢাকায় আসেন কেরি।

সফরকালে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা দেশগু‌লোর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি জানান কেরি।

জন কেরি ঢাকায় এসে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভালনারেবল ফোরাম প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বাইডেনের বিশেষ দূত কেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনসহ অন্যদের সঙ্গে বৈঠকের শেষ হওয়ার আগেই ঢাকার যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগামী ২২-২৩ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট জোসেফ বাইডেনের ‘লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেট’-এর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জন কেরির আজকের এই ঢাকা সফর। যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বীকৃতি পাবেন।

দূতাবাস জানায়, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের গুরুত্বই কেরির এই সফর বহন করছে। প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূতের আলোচনায় জলবায়ু নীতি, বিনিয়োগ, উদ্ভাবন এবং টেকসই অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে সমৃদ্ধি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর আলোকপাত করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, জলবায়ু সংকট রোধে প্রশমন ও অভিযোজনকে সহায়তা দিতে এবং সমৃদ্ধিকে সমর্থন জোগাতে বিনিয়োগ দরকার। এই বিনিয়োগ সংগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বেসরকারি খাতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কেরি জানান, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার ভিন্ন পথে হাঁটছে। তবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। প্যারিস চুক্তিতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান কেরি।

এনআই/এসকেডি