ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমরা ৯ লাখ ৯৬ হাজার বাসা পরিদর্শন করেছি। এটি অব্যাহত রাখতে হবে, জরিমানা চলমান থাকবে। এ জন্য মশক অভিযান চালাতে দীর্ঘ মেয়াদে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট দরকার। এ বছর আমরা ৩ কোটি ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেছি।

তিনি বলেন, এই জরিমানার টাকা সরকারের তহবিলে জমা হয়। আমরা বারবার সচেতনতার কথা বলে আসছি। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। কাজেই এটি ছাড়া উপায় নেই।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে আয়োজিত দেশব্যাপী ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ইউনিসেফের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা স্কাউটস, মসজিদের ইমাম, শিক্ষক, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কাউন্সিলদের সঙ্গে বসেছি। এটি প্রতিরোধে অবশ্যই আমাদের বছরব্যাপী কার্যক্রম থাকতে হবে। এজন্য প্রত্যেকটি বাড়ির ছাদে গিয়ে গিয়ে আমরা দেখার চেষ্টা করেছি কোথায় কোথায় পানি জমে থাকছে। দুই মাসে ড্রোনের মাধ্যমে কোন কোন বাসায় পানি জমে আছে সেগুলো শনাক্ত করা করা হয়েছে। মনিটরিং করা হচ্ছে। আমরা আমাদের কাজ করছি, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা, সামাজিক বিপ্লব ছাড়া ডেঙ্গু থেকে উত্তরণ কঠিন।

বিটিআই জালিয়াতির বিষয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এই কিটনাশক পরিবেশবান্ধব। শুরুতে মাত্র ৫ টন আনার চেষ্টা করেছি আমরা। যে ঠিকাদার নিয়ে আসে সেখানে সিঙ্গাপুর লেখা ছিল। এতে করে সিটি কর্পোরেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। ভবিষ্যতে যাতে কোনোভাবে আর কাজ না পায় সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে বিটিআই আমরা আনব। এবার ঠিকাদার নয়, নিজেরাই আনব। ইতিমধ্যে তৈরিকৃত কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে।

এএসএস/এমএ