জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম

‘দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিলাম মানেই আমি শতভাগ নিরাপদ, এটা ভাবা যাবে না। শুরু থেকে যেভাবে সর্তকতা নিয়ে চলছি, এখনও একইভাবে চলতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে।’

শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর গুলশান এলাকার বাসিন্দা মিসেস তাহমিনা করিম। মহাখালীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়ার পর ঢাকা পোস্টকে এসব কথা বলেন তিনি।

মিসেস করিম বলেন, ‘আসলে বাঁচা-মরা সব আল্লাহর হাতে। তারপরও আমাদের সচেতন হতে হবে। টিকা শতভাগ কাজ করবে এই ভাবনা রাখাটা ভুল হবে। তাই বলে এটাও ভাবা যাবে না যে টিকা কোনো কাজ করবে না। বরং আমাদের সবার উচিত টিকা নেওয়া। দ্বিতীয় ডোজ নিতে পেরে আমি খুব খুশি। শুরুতেই টিকা বিনা পয়সায় পেয়েছি, এটা ভেবেই আমার অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করেছে। এ জন্যে সরকারকে ধন্যবাদ।’

‘আমি নিজে টিকা নেওয়ার পাশাপাশি পরিচিত সবাইকে নেওয়ার জন্যে উৎসাহ ও সহযোগিতা করেছি। কেননা আমি মনে করি, এ মহামারি প্রতিরোধে আমাদের সবার এগিয়ে আসতে হবে। আমার কথা অনেকেই শুনেছেন আবার অনেকেই শুনেননি। আমি আমার জায়গা থেকে দায়িত্বটা পালন করেছি।’

 দ্বিতীয় ডোজের টিকার এসএমএস পেয়েছিলেন কিনা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রথম ডোজ দেওয়ার পর টিকা কার্ডে তারিখ দেওয়া ছিল, সেই তারিখ মেইনটেইন করেই টিকা নিলাম। এখানে ব্যবস্থাপনাটাও অনেক ভালো।’

সরেজমিনে হাসপাতালটির টিকা দেওয়ার ইউনিটে দেখা যায়, সকাল থেকেই প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে এসেছেন অনেকেই। তবে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়ার সংখ্যা বেশি। টিকা নেওয়ার পর বিশ্রাম নেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অধিকাংশই বিশ্রাম নিয়ে চলে যাচ্ছেন।’

দায়িত্বরত রেড ক্রিসেন্টের এক সদস্য জানান, প্রথম দিন থেকে এখন পর্যন্ত টিকা নিতে খুব বেশি ভিড় দেখা যায়নি। হয়তো শুরুতে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা কম ছিল। আগামীতে ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাসপাতালটির টিকা ইউনিট থেকে জানানো হয়, প্রথম দিন দুইশ জন টিকা নিয়েছেন। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) ছুটির দিন থাকায় বন্ধ ছিল। আজ সকাল থেকেই টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

প্রথম ডোজের টিকা দিতে এসেছেন আমিনুল ইসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘অনেকটা অলসতা এবং কাজের ব্যস্ততার কারণে আসা হয়নি। নিবন্ধন করেছিলাম অনেক আগেই। এখন যে হারে আবার করোনা বেড়েছে, এজন্য ভাবলাম, কাজ আর ব্যস্ততা রেখে টিকা নিয়ে আসি। এরপর টিকা নিলাম, কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এখানে টিকার ব্যবস্থাপনাটা খুবই চমৎকার। সবমিলিয়ে আমি খুশি খুবই অল্প সময়ে নিবন্ধনের পাশাপাশি টিকা নিতে পেরে।’

দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়া রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিলেই যে আর স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে না, এমনটা কিন্তু নয়। তাই আমাদের সবার সচেতন হয়ে চলতে হবে। মাস্ক ব্যবহারসহ সবকিছুই মেনে চলতে হবে। তবেই আমরা করোনার হাত থেকে রেহাই পাব।’

একে/আরএইচ