চলমান কঠোর নিষেধাজ্ঞা আগামীকাল ১২ এপ্রিল ও পরশু ১৩ এপ্রিলও চলবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১১ এপ্রিল) সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।

দেশে করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের কঠোর নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ (১১ এপ্রিল)। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হবে কঠোর ও সর্বাত্মক লকডাউন। মাঝের দুদিন অর্থাৎ ১২ ও ১৩ এপ্রিল তাহলে কী হবে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার ধারাবাহিকতা চলবে ১২ ও ১৩ এপ্রিলও।’

গত ৪ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে করোনা প্রতিরোধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে ১১টি নির্দেশনা দেয় সরকার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে শেখ হাসিনা সরকার সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার লকডাউন ঘোষণা করে। ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন হবে, এ সময় আমাদের বৃহত্তর স্বার্থে জরুরি সেবা ছাড়া সবাইকে ঘরে অবস্থান করতে হবে। প্রয়োজনীয় নির্দেশনাসহ সরকার সময়মতো প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলেও জানান তিনি। 

তিনি বলেন, আগামীকাল সোমবার এবং পরশু মঙ্গলবার যথারীতি শুধুমাত্র দেশের সিটি করপোরেশন এলাকায় শর্তসাপেক্ষে সমন্বিত ভাড়ার অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চলবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে।

দেশের মানুষকে এই সংকটকালে ধৈর্য ধারনের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাস্থ্যবিধির প্রতি সামান্য অবহেলা আমাদের চিরচেনা জীবন থেকে ছিটকে দিতে পারে। হয়ে যেতে পারে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজনের এই মায়াময় পৃথিবী অচেনা।

এর আগে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন বিআরটিসি’র ২৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য তিন কোটি টাকার গ্র্যাচুইটি প্রদান এবং মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি। 

ওই অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিআরটিসিকে এগিয়ে নিতে এর বহরে সহস্রাধিক বাস ও ট্রাক সংযোজনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন।

তিনি বলেন, এখন প্রয়োজন বিআরটিসি’র নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা দক্ষতা উন্নয়ন। জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে শেখ হাসিনা সরকার ঢাকাসহ অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকাধীন সড়কে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

এ সময় বিআরটিসিসহ পরিবহন মালিক শ্রমিক সংগঠনগুলোকে সরকারি নির্দেশনা মেনে পরিবহন চালানোর অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

চলবে জরুরি পণ্যবাহী ট্রেন

কঠোর লকডাউনের আগের দুইদিন ১২ ও ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ রেলওয়ের পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত থাকবে। সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর কঠোর লকডাউনে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রেলওয়ে। 

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞার পর যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

এইউএ/জেডএস/জেএস