দুদকের ২ মামলা
তিনি কোটিপতি ক্লিনার!
কোটিপতি কে না হতে চান? নিজ যোগ্যতা এবং কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে অনেকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছান। অনেকে আবার অসাধু উপায় অবলম্বন করে খুব অল্প সময়ে কোটিপতি বনে যান। এমন একজন কোটিপতির সন্ধান মিলেছে ঢাকা পোস্টের অনুসন্ধানে। তিনি একজন ক্লিনার। চাকরি করতেন বেসরকারি একটি ব্যাংকে।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
নাম তার মো. রবিউল ইসলাম। স্ত্রী মোছা. রেখা ও তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় আড়াই কোটি টাকা। বিপুল এ সম্পদের বৈধ উৎস দেখাতে না পারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুদকের কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মাহাথীর মুহাম্মদ সামী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বুধবার (১ নভেম্বর) দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন
জানা যায়, দুদকের অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে পলাতক রয়েছেন কোটিপতি ক্লিনার দম্পতি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
গতকাল মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুদকের কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মাহাথীর মুহাম্মদ সামী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বুধবার (১ নভেম্বর) দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ক্লিনার মো. রবিউল ইসলামের এক কোটি ৪৬ লাখ ৩৮ হাজার ৪৩০ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে তিনি এত সম্পদের মালিক হয়েছেন
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দুদকের অনুসন্ধানে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের কিশোরগঞ্জ শাখার বরখাস্ত হওয়া ক্লিনার মো. রবিউল ইসলামের এক কোটি ৪৬ লাখ ৩৮ হাজার ৪৩০ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে তিনি এত সম্পদের মালিক হয়েছেন।
অন্যদিকে, দুদকের অনুসন্ধানে তার স্ত্রী মোছা. রেখারও ৯৭ লাখ ৫২ হাজার ৪৩০ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ পাওয়া যায়। নিজেকে ব্যবসায়ী দেখিয়ে ওই সম্পদ বৈধ করার চেষ্টাও করেন। কিন্তু সব কাগজপত্র জাল হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।
ক্লিনার মো. রবিউল ইসলামের স্ত্রী মোছা. রেখারও ৯৭ লাখ ৫২ হাজার ৪৩০ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। নিজেকে ব্যবসায়ী দেখিয়ে ওই সম্পদ বৈধ করার চেষ্টাও করেন। কিন্তু সব কাগজপত্র জাল হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে
তাদের অর্জিত অবৈধ সম্পদের মধ্যে ৭১ লাখ ৩৭ হাজার ৮৬৩ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ২৬ লাখ ১৪ হাজার ৫৬৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা ও ২৭ (১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।
একই দিনে কিশোরগঞ্জ দুদক কার্যালয়ে এক নলকূপমিস্ত্রীর এক কোটি ৮৪ লাখ দুই হাজার ৪৫২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় নলকূপমিস্ত্রী মো. বোরহান উদ্দিন ও তার স্ত্রী মোছা. আফরিন আক্তার সাথীকে আসামি করা হয়েছে।
দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক রোমান উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আরএম/এমএআর/