ইসির সামনে জড়ো হয়েছেন অনেকে/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই, তার ওপর ‘সীমিত পরিসরে’ চলছে আড্ডা। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কাই করছেন না অনেকে। রোববার (১১ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সামনের সড়কে লোকজনের জটলা লক্ষ্য করা যায়।

জানা যায়, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অফিস এই এলাকায় হওয়ায় এখানকার রাস্তার সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়ায়। আশপাশে তেমন কোনো দৃষ্টিনন্দন জায়গাও নেই। তাই আড্ডার জন্য জায়গাটি বেছে নেন অনেকে। প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর এখানে জড়ো হন বিভিন্ন বয়সীরা।

আরিফুর রহমান নামের একজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বন্ধু ফোন দিল, তাই একটু আসলাম। এই জায়গাটা মোটামুটি নিরিবিলিই থাকে। কিন্তু এখানে তো দেখছি অনেক মানুষ।

সাগর নামের অপর একজন জানান, সারাদিন বাসায় থেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। এজন্য সন্ধ্যার পর বন্ধুদের নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু এখানে এসে দেখি স্বাস্থ্যবিধি বা লকডাউনের কোনো বালাই নেই।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়েছে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। রোববার (১১ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১ ও ২ নম্বর স্মারকের ধারাবাহিকতায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ আগামী ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।

এর আগে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এ সময়ের জন্য ১১টি নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এদিকে কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকালে সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে করোনাভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। কিন্তু এতেও কমেনি জনগণের উদাসীনতা। এ অবস্থায় জনস্বার্থে সরকার আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তা ভাবনা করছে।’

পরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকার ১৪ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত এক সপ্তাহ কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে, যেটি হবে কমপ্লিট (পূর্ণাঙ্গ) লকডাউন। এই লকডাউনের সময় বাড়ানো হবে কি না তা নিয়ে ২০ তারিখে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মানুষের কাছে মেসেজ হলো- সতর্ক থাকতে হবে, বাইরে আসা যাবে না। এটি অত্যন্ত কঠিন একটি লকডাউন হবে। অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে, বাইরে আসা যাবে না। শুধু জরুরি সেবা চালু থাকবে৷ সব যানবাহনও বন্ধ থাকবে।

এসআর/এসএসএইচ