দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিতে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে। কোথাও কোথাও বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ আহত হয়েছেন বা পুড়ে দগ্ধ হয়েছেন। তাই নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে 'নিরাপদ বাহন' হিসেবে ট্রেনকেই বেছে নিয়েছেন অনেক যাত্রী। ফলে সাধারণ সময়ের চেয়ে অবরোধের দিনে টেনে বেড়েছে যাত্রীর চাপ।

বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বিএনপির তৃতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এদিন সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, কিছু সময় পর পর বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ট্রেনগুলো প্লাটফর্মে এসে থামছে। প্রতিটি ট্রেন থেকেই বহু যাত্রী প্লাটফর্মে নামছেন। আবার বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য কেউ কেউ অপেক্ষায় আছেন ট্রেনের। অন্যদিকে কাউন্টারগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রীর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। 

তিতাস কমিউটার ট্রেনের যাত্রী বাবর হোসেন মঞ্জু ঢাকা পোস্টকে বলেন, লোকাল ট্রেনটিতে যাত্রীর ব্যাপক ভিড় ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বাসে আসা গেলেও ফেনী যেতে ট্রেন এখন একমাত্র ভরসা। আজ অবরোধের দিন, কোথায় না কোথায় বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় তার তো ঠিক নেই। ট্রেনে একসঙ্গে প্রচুর মানুষ ধাক্কাধাক্কি করে এলেও অন্তত নিরাপদে ঢাকায় এসে পৌঁছেছি, এটাই সবচেয়ে বড় কথা।

নারায়ণগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের যাত্রী এস কে এম জনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে খুব সহজেই ট্রেনে ঢাকায় আসা যায়। যার ফলে অন্য বাহনের কথা আপাতত চিন্তা করি না। আর হরতাল অবরোধের সময় তো অন্যকোনো পরিবহনের কথা ভাবিই না। অবরোধের সময় কিছু না কিছু সময় পরপরই জানা যায় এখানে আগুন লেগেছে সেখানে আগুন লেগেছে। যেহেতু ট্রেনে অন্তত নিরাপদে যাতায়াত করা যায় তাই এটাই সবচেয়ে যাতায়াতের ভালো মাধ্যম।

সার্বিক বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারোয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, হরতাল অবরোধের কোনো প্রভাব ট্রেনের ওপর পড়েনি। সকাল থেকে নিয়ম মাফিক প্রতিটা ট্রেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে এবং যেগুলো আসার কথা ছিল সেগুলো প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়িয়েছে। নিরাপদ বাহন হিসেবে ট্রেনে বেড়েছে যাত্রীর চাপ।

এমএইচএন/জেডএস