সুবিধাবঞ্চিতদের ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহায়তা
সমাজের সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। পবিত্র রমজান মাস ও করোনা মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে মানবিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে আহ্ছানিয়া মিশন ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় রিড ফাউন্ডেশন ইউকের আর্থিক সহায়তায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে।
১২ ও ১৩ এপ্রিল এই দুই দিনে মোট ৩০০ সুবিধাবঞ্চিত মানুষ, পথশিশু ও কর্মজীবী শিশুর পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্টরা জানান, এই কার্যক্রমের আওতায় ড্রপ-ইন-সেন্টার (ডিআইসি) মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ীর কর্মজীবী শিশু পরিবার, কমলাপুরে চলমান অধিকার প্রকল্পের তালিকাভুক্ত সুবিধাবঞ্চিত পথশিশু ও মিরপুরের সুবিধাবঞ্চিত শিশু, দিনমজুর ও স্বল্প
আয়ের পরিবারগুলোতে সহায়তা দেওয়া হয়। প্রত্যেককে ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি চিনি, দুই কেজি পেঁয়াজ, পাঁচ কেজি আলু, এক কেজি ছোলা, আধা কেজি মুড়ি ও এক কেজি লবণসহ মোট ২২ কেজি সমপরিমাণ ৯ ধরনের পণ্যসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের শিক্ষা ও টিভেট সেক্টরের প্রধান মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ লকডাউন থাকা অবস্থায় পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। এতে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারগুলোর রোজা পালন করতে অনেক কষ্ট হবে। এই মানুষগুলো যাতে আগামী ১৫ দিন বাসায় অবস্থান করে ও রাস্তায় না নেমে আসে। তারা যেন সেহরি ও ইফতারি করতে পারে সেই উদ্দেশ্যে এই খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমাদের এ ধরণের কার্যক্রম চলবে।
বিজ্ঞাপন
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ড্রপ ইন সেন্টার প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা জনাব মো. আল আমিন, অধিকার প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমানসহ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্ব স্ব প্রকল্পের সিনিয়র স্টাফরা। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের শিক্ষা
সেক্টরের প্রশিক্ষিত একটি স্বেচ্ছাসেবক দল কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু, ফলে বিশ্ববাসীর ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে, কিন্তু সবচেয়ে বেশি খারাপ প্রভাব ফেলেছে পথশিশু ও কর্মজীবী শিশুদের ওপর। মহামারির শুরু থেকেই জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রদান করছে। সঙ্গে সঙ্গে সচেতনতামূলক কার্যক্রম যেমন- হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব, জনবহুল জায়গা ও গণপরিবহনগুলো জীবানুমুক্ত করণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরএইচটি/ওএফ