করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের দেওয়া কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রামের সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে মানুষের চলাচল। এছাড়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার সড়কে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে। 

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) চট্টগ্রামের জিইসি, টাইগারপাস, আগ্রাবাদ এলাকায় দেখা গেছে রিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলে মানুষের চলাচল বেড়েছে। গতকালের তুলনায় রিকশার সংখ্যাও বেড়েছে। এছাড়া অনেককে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। বিভিন্ন মােড়ে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মােটরসাইকেলে তল্লাশি করতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশকে। তবে তা প্রথমদিনের মতো কড়াকড়ি ছিল না।

বেসরকারি ব্যাংকে কাজ করা ইমতিয়াজ রাকিব বলেন, আজকে থেকে ব্যাংক খােলা তাই বাধ্য হয়ে বের হতে হয়েছে। গাড়ি না থাকার কারণে অতিরিক্ত রিকশা ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হয়েছে। আজকে সড়কে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে।

চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ কমিশনার (রাঙ্গুনিয়া-রাউজান সার্কেল) আনোয়ার হােসেন শামীম ঢাকা পােস্টকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে কঠাের অবস্থানে আছি আমরা। গতকালকের মামলার সংখ্যা বেড়েছে। নিয়ম না মানায় দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চল্লিশটি মামলা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মানুষকে সরকারি বিধিনিষেধ মানার জন্য সচেতন করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক ঢাকা পোস্টকে বলেন, অলিগলিসহ যেখানে মানুষের আড্ডা দেখা যাচ্ছে সেখানেই জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা অভিযান চালাচ্ছেন। সকাল থেকে সরকারি বিধিনিষেধ কার্যকরে ছয়জন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন। আজকে অলিগলিতে অভিযানের ওপর জাের দেওয়া হচ্ছে।

কেএম/জেডএস